Naya Diganta
চি ঠি প ত্র

চাকরির বাজার মন্দা

চি ঠি প ত্র

বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার কত তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারবে না। তবে কোটির নিচে নয়। করোনা মহামারীতে দেশের কর্মসংস্থান অনেকাংশে কমেছে। বারবার মহামারীর ঊর্ধ্ব ও নিম্ন গতির কারণে এ দেশের ব্যবসাবাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চাকরির বাজার খুবই খারাপ। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেকারদের দুরবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এতে করে হতাশা, নিরাশা, টেনশন ইত্যাদির কারণে শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে মানসিক দুশ্চিন্তা এবং বেঁচে থাকার ব্যাপারে বিভিন্ন অপরাধমূলক খারাপ চিন্তা চলে আসে। আর এটাই স্বাভাবিক। ইতোমধ্যে মহামারী ও লকডাউনের কারণে দেশের ব্যবসাবাণিজ্য ও অর্থনীতি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সব কিছু খুলে দেয়ার পরও, শিল্প-ব্যবসাবাণিজ্য চালু হলেও আজো ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গায় আসেনি অর্থনীতি। অর্থমন্ত্রী প্রায়ই দাবি করেন, অতিমারীর আবহের পর দেশের অর্থনীতি অনেকটা উন্নত হয়েছে। সরকারি তরফে অনুমান করা হচ্ছে, চলতি আর্থিক বছরের শেষে অর্থনৈতিক উন্নতির হার অনেকটা বেড়ে যাবে। আসলে কি প্রকৃত অবস্থা তাই? দেশের সম্পদ আহরণ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্য একেবারেই বেহাল। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কর্মসংস্থানের হার। অতিমারীর পরপর বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে আবার অনেক ক্ষেত্রে বেতনও কমিয়ে দেয়া হয়েছে। সংবাদপত্র শিল্পের অবস্থা করুণ। হকার অনেকে এখন বেকার। পত্রিকা এখন আর আগের মতো চলে না।
তাই আজ শিক্ষিত বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে বেকারদের ঋণ প্রদান করে শিক্ষিত যুব কর্মসূচি চালুকরণের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। মহামারীর পরপরই দেশে নতুন করে কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি; শিল্পে বিনিয়োগ বাড়েনি। তাহলে চাকরির বাজার কিভাবে বাড়বে? চাকরির বাজার বাড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান অথবা ব্যাংক ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী