Naya Diganta

রাশিয়া-ই্‌উক্রেন সঙ্ঘাতে তুরস্কের মধ্যস্থতা, নোবেল পাবেন এরদোগান!

শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাশিয়া ও ই্‌উক্রেন প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান

রাশিয়া-ই্‌উক্রেন সঙ্ঘাত নিরসনে তুরস্কের মধ্যস্থতার কারণে শান্তিতে নোবেল পেতে পারেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। বৃহস্পতিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ইয়েনি শাফাক।

রাশিয়া-ই্‌উক্রেন সঙ্ঘাত নিরসনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের মধ্যস্থতার ফলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নুতন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছেন এরদোগান। এদিকে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষরাও চাচ্ছে যে ই্‌উক্রেনের সাথে চলমান যুদ্ধ থেকে বিরতি নিক রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।

তুরস্কের মধ্যস্থতার বিষয়ে নেদারল্যান্ডের (হল্যান্ড) রটারডামভিত্তিক দৈনিক পত্রিকা আলজেমিন ডাগব্লাডের সাংবাদিক সাসকিয়া ভ্যান ওয়েস্টথ্রিনেন বলেন, ই্‌উক্রেন ইস্যুতে সঙ্ঘাত নিরসনে একটি অচলাবস্থা চলছিল। এমন সময়ে হঠাৎ ক্ষীণ আশার আলো দেখতে পাচ্ছি আমরা। দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করতে এর আগে তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি। এটা খুবই ইতিবাচক।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাশিয়া ও ই্‌উক্রেন প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছে তুরস্ক। এ সময় রাশিয়া-ই্‌উক্রেন সঙ্ঘাত নিরসনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ওই দু’দেশের প্রতিনিধিদের বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল পক্ষের জয় হয়। দীর্ঘ যুদ্ধে কোনো পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হয় না।’

এ বিষয়ে ভ্যান ওয়েস্টথ্রিনেন বলেন, এ মধ্যস্থতার মাধ্যমে হঠাৎ করে বিশ্ব মঞ্চে প্রধান খেলোয়াড়ের ভূমিকায় নেমেছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। যদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্কের মধ্যস্থতা সফল হয়, তাহলে শান্তিতে নোবেল পেতে পারেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। কারণ, জো বাইডেন বা মার্ক রুটের মতো পশ্চিমা নেতারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় এরদোগানের চেয়ে সফল নন।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক