Naya Diganta
আর্থিক প্রণোদনা দেয়া উচিত : সালমান এফ রহমান

২০২৩ সালের মধ্যেই বাসাবাড়িতে কার্যকর পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে : মেয়র আতিক

আর্থিক প্রণোদনা দেয়া উচিত : সালমান এফ রহমান

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে আয়োজিত ‘নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালা গতকাল শেষ হয়েছে। এ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেন, আধুনিক প্রক্রিয়ায় আমরা নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে ঢাকা শহরের পরিবেশকে রক্ষা করতে পারব। যারা নিজ দায়িত্বে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে তাদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ২০২২ সালের মধ্যে এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করব। ২০২৩ সালের মধ্যেই রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের নিজস্ব উদ্যোগে বাসাবাড়িতে কার্যকর পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।
সাংবাদিক মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল, ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জাইদ জুরজি, রাজউকের চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন , ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম রেজা প্রমুখ।
আতিকুল ইসলাম বলেন, লেকগুলো দূষিত, খালগুলো দূষিত, বৃষ্টির পানি নামার সাধারণ নর্দমা দিয়ে মানুষের পয়োবর্জ্য খালে-লেকে গিয়ে পড়ছে। এটা রাজধানীবাসীর জন্য বিরাট স্বাস্থ্যঝুঁকি। এটা আর চলতে দেয়া যায় না। এ সময় তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর খালে বা সারফেস ড্রেনে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ পাওয়া গেলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ডিএনসিসি আওতাধীন খালগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক খালে রূপান্তর করা হবে। এটি করতে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা। জনসচেতনতা তৈরি করে এর সমাধান করতে হবে। লেক-খালগুলোকে আমরা রোগ-জীবাণু ছড়ানোর কারখানায় পরিণত করতে পারি না।