২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাথর খায়, মল ত্যাগ করে বালি

দেখতে ঝিনুকের মতো না হলেও এটি আসলে এক প্রকার ঝিনুক - ছবি : সংগৃহীত

প্রাণী জগতে বৈচিত্রের শেষ নেই। প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার করছেন আর চমকে যাচ্ছেন। এবারো ঘটলো তেমনটি। নতুন প্রজাতির এক ঝিনুক আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা যেটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের। এই এই ঝিনুক খায় পাথর। আবার যখন মল ত্যাগ করে তখন বের হয় বালি। অর্থাৎ পাথর খেলে বালি বানিয়ে ফেলে এই প্রাণী। এই ঝিনুক এক প্রজাতির ‘শিপ ওয়ার্ম’। একে সমুদ্রের উইপোকা বলেও অভিহিত করেন অনেকে।

দেখতে ঝিনুকের মতো না হলেও এটি আসলে এক প্রকার ঝিনুক; কিন্তু দেহের আকার বড়ো হওয়ায় খোলসের মধ্যে নয়, বাইরেই থাকে সাদা জেলির মতো দেহাংশ। শিপওয়ার্মের আকার মূলত ১ থেকে ৫ ফুট হয়। লিথোরেডো অ্যাবাটানিকার আকার প্রায় ৪ ফুট। রয়েছে কয়েক ডজন দাঁতও।

ফিলিপাইনের আবাতান নদীতে ২০০৬ সালে প্রথম এ ঝিনুকটিকে দেখতে পান ফ্রান্সের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচরাল হিস্ট্রির সদস্যরা। ঝিনুকটি আদতে ‘শিপ ওয়ার্ম’ গোত্রের। সেই সময় তারা এ শিপ ওয়ার্মটিকে ‘টেরেদিনিদি’ গোত্রের বলে মনে করেছিলেন।

এই গোত্রের কীট বা ঝিনুকগুলো মূলত নোনা জলে বাস করে। এর নামকরণও হয়েছে তাদের খাদ্যাভাসের উপর ভিত্তি করেই। শিপ ওয়ার্ম নাম থেকেই বোঝা যায়, এরা মূলত জাহাজে বা বন্দরের কাঠের পাটাতনে খোলসের মধ্যে থাকে এবং কাঠ খেয়েই জীবনযাপন করে।

সম্প্রতি ফিলিপাইনের জীব বৈচিত্র অভিযানে এ শিপ ওয়ার্মটিকে পাথরের ভিতরে দেখতে পান গবেষকরা। চমকের শুরু তখন থেকেই। শিপ ওয়ার্ম হলে তা পাথরের মধ্যে কী করছে? এরপর নানা পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, যেটিকে তারা শিপ ওয়ার্ম ভাবছিলেন, সেটি আসলে এক নতুন প্রজাতির ঝিনুক। চমকের পরের ধাপে তারা দেখেন, এ ঝিনুকটি পাথর খাচ্ছে এবং মল হিসাবে বালি বের করছে! গবেষকরা এর নাম দিয়েছেন লিথোরেডো অ্যাবাটানিকা।

ফিলিপাইনের আবাতান নদীর পাড়ে তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেই দেখা মিলছে এ শিপ ওয়ার্মের। এটির নামে ওয়ার্ম থাকলেও এটিকে এক প্রকার ঝিনুক বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।


আরো সংবাদ



premium cement