১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আটক হওয়া নিয়ে যা জানালেন স্পর্শিয়া

অভিনেত্রী স্পর্শিয়া - ফাইল ছবি

মদ্যপ বন্ধুসহ আটক হওয়ার পর অবশেষে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গাড়িসহ আটক হওয়ার পর রাত ৩টার দিকে ছাড়া পান তারা। পরে এ বিষয়ে গণমাধমের সাথে কথা বলেন স্পর্শিয়া।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ধানমণ্ডির ৮/এ রোডে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টার এলাকায় ধানমণ্ডি থানার এসআই মাহবুব উল আলম এবং এসআই মাইনুল ইসলাম টহল উিউটিতে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে আবাহনী মাঠের দিক থেকে জিগাতলার দিকে একটি অভিজাত প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো-ঘ-১৭-৪০৭২) বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। ইউনিমার্টের সামনের সড়কে একটি অটোরিকশায় ধাক্কা দেয়ার উপক্রম হয়েছিল গাড়িটি। এসআই মাহবুব গাড়িটি থামার সংকেত দিলে গাড়িটি থামানো হয়। ওই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘ। অর্ঘ গাড়ি চালাচ্ছিলেন আর পাশের সিটে বসে ছিলেন স্পর্শিয়া।

তাদের গাড়ি থামানো হলে পুলিশের কাছে থামানোর কারণ জানতে চেয়ে অসদাচরণ করেন অর্ঘ। পুলিশ তখন তার কাছে জানতে চান, তিনি মদ্যপ কিনা। তিনি জানান, তার মদপানের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু পুলিশ লাইসেন্স দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি তারা। পরে একপর্যায়ে গাড়িসহ তাদের ধানমণ্ডি থানায় নেয়া হয়। পরে রাতেই অর্ঘ থানায় মুচলেকা দেন। এরপর তারা দুজন ছাড়া পান।

এ ব্যাপারে স্পর্শিয়া গণমাধ্যমকে জানান, একটি পারিবারিক প্রোগ্রাম থেকে রাত ১১টার পর তারা ফিরছিলেন। তাদের গাড়ির গতি ছিল ৬০ কিলোমিটার। তাদের এ গতিকে বেপরোয়া আখ্যা দিয়ে পুলিশ অর্ঘকে থানায় যেতে বলে আর তাকে বাসায়। কিন্তু তিনি নাকি জেদ করে মদ্যপ বন্ধুর সাথে থানায় থেকে যান। পরে অর্ঘকে একাকী পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৩টার দিকে ছেড়ে দেয়। তিনিও তখন অর্ঘের সাথে বের হন।

এসআই মাহবুব বলেন, গাড়ি কেন থামানো হয়েছে- এই প্রশ্ন তুলে অর্ঘ খারাপ আচরণ করেন। স্পর্শিয়াও চিৎকার চেচামেচি করছিলেন। অবশ্য আমরা তার সাথে কথা বলেনি। যেহেতু অর্ঘ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাই তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিনিয়র স্যারদের সাথে কথা বলে থানায় নেয়া হয়।

ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে প্রাঙ্গনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাড়িতে স্পর্শিয়া ছিলেন। তারা পুলিশের সাথে অসদাচরণ করেন। এ কারণে তাদের থানায় নেয়া হয়েছিল। রাতেই মুচলেকা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement