২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইসিতে নিবন্ধনের জন্য ৮০টি দলের আবেদন

- ফাইল ছবি

নির্বাচনে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে ৮০টি নতুন দল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান আবেদন জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ৮০টি দলের আবেদন শিগগিরই যাচাই-বাছাই করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। যদি কোনো দলের একটি শর্তও অপূর্ণ থাকে, তবে সেই দল নিবন্ধন পাবে না। আগামী মে মাসের শেষের দিকে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনের প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়ার জন্য আবেদন আহ্বানের বিধান আছে। সে মোতাবেক গত ২৬ মে দলগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান করে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত সময় নির্দিষ্ট করে দেয় সংস্থাটি। পরবর্তীকালে অনেকের আবেদনের ভিত্তিতে আরো দুই মাস সময় বাড়ায় ইসি।

সর্বশেষ দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সময় দেয়া হয়েছিল ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। কে এম নূরুল হুদা কমিশন নানা কারণে সবার আবেদন বাতিল করেছিলেন। পরে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

তার পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল আবেদন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন ওই সময় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট- এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়।

১/১১ সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়। ওই সময় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই- বাছাইয়ে পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। সবমিলিয়ে গত ১৪ বছরে মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালে সবশেষ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। ওই সময় নির্বাচনে ৭৬টি দল আবেদন করলেও সবকটি আবেদনই বাতিল করে ইসি।

পরে আদালতের মাধ্যমে নিবন্ধন পায় দুটি দল। বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

 


আরো সংবাদ



premium cement