১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দেওয়ানগঞ্জে বন্যার পানি : শতাধিক পরিবারের আশ্রয় স্কুলে

দেওয়ানগঞ্জে বন্যার পানি : শতাধিক পরিবারের আশ্রয় স্কুলে - ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত যমুনার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে বুধবার পর্যন্ত যমুনার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদ সীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

গত ক’দিনে প্রবল বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার নয়াগ্রাম ও কাঠারবিল সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

সেখানে নৌকায় পারপার হচ্ছে মানুষ। অধিক ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দেওয়ানগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ সড়কের সরদার পাড়া ভাঙ্গন স্থানের কাজ শেষ পর্যায়ে। আজ যোগাযোগ সচল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো: তোফায়েল আহম্মেদ।

তিনি জানান, উপজেলায় পানি উঠায় আমরাও অসুবিধায় আছি। উপজেলা দেওয়ানগঞ্জ রেল স্টেশন-উপজেলা পরিষদ-দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল রোডে পানি। রেল কলোনীতেও পানি উঠেছে।

পিআইও মাহফুজুর রহমান নয়া দিগন্তকে জানান, চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের একটি গুচ্ছ গ্রাম ও একটি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের শতাধিক বানভাসিকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় ও রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত বুধবার (৩ জুলাই) তাদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। অন্য বারের মতো এবারও দেওয়ানগঞ্জ সরকারি এ কে এম কলেজে বানভাসি মানুষদের আশ্রয় দেয়া সম্ভব না হওয়ায় অন্য স্থানে তাদের উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে নয়া দিগন্তকে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো: মাহফুজুর রহমান।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কলেজে পরীক্ষা চলছে বলে তা সম্ভব হচ্ছে না। অধিকাংশ জন প্রতিনিধি তাদের এলাকার বন্যা পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয় না জানানোতে আমাদের পক্ষে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ণয় করতে অসুবিধা হচ্ছে। বন্যায় পৌরসভাসহ উপজেলার আট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ-ফুটানি বাজার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার্তদের অনেকেই অন্য বারের মতো ইতোমধ্যে দেওয়ানগঞ্জ রেল স্টেশন প্লাটফর্মে পরিবারের সদস্য ও গবাদি পশু আনা শুরু করেছেন।

বানভাসি কৃষক নজরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, তাদের বাড়ি হলকার চর গ্রামে। আমার বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি আমার গবাদি পশু ও পরিবারকে নিয়ে রেল স্টেশনে আশ্রয়স্থানের ব্যবস্থা করছি। দেওয়ানগঞ্জে হু হু করে পানি বাড়ার সাথে সাথে নদ-নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement