১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ-গোলাবাড়ি সড়ক নদীতে বিলীন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ-গোলাবাড়ি সড়ক নদীতে বিলীন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন - ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানী ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ-গোলাবাড়ি সড়ক যমুনা নদীতে বিলীন হওয়ায় অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি মঙ্গলবার রাতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ দুর্ভোগে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি ইউনিয়নে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানির প্রচণ্ড স্রোতে নদীভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে।

গত এক মাসে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নে তীব্র ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে দুইশতাধিক ঘরবাড়ি ও কয়েক শ’ একর ফসলি জমি। হুমকির মুখে রয়েছে দেড় হাজারেও অধিক পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, ভাঙন ঠেকাতে সমন্বিত সমীক্ষা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

যমুনার তীব্র স্রোতে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের চর ডাতাকিয়া, কাজলাপাড়া, মণ্ডল বাজার, বরখাল, হাজারীগ্রাম, খানপাড়া, পলাশপুর, জালিপাড়া ও মাঝিপাড়া গ্রামে সাত কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে যমুনার তীব্র ভাঙন। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। ইতোমধ্যে একটি প্রাইমারি স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, ডাকাতিয়া গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গ্রামসহ ১০টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে যমুনা নদীর তীব্র স্রোত ও ভারী বর্ষণে দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কটিও যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বরখাল গ্রামের মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেলোয়ার হোসেন উচ্চবিদ্যালয় আমাদের গর্ব ও স্মৃতি। আমাদের ঘরবাড়ি, জমিজিরাত তো গেছেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি রক্ষা করা না হলে আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বরখাল এলকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেলোয়ার হোসেন উচ্চবিদ্যালয়সহ বেশ কিছু স্থাপনা নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ২০০ মিটার এলাকায় তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ড্রম্পিংয়ের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া সার্বিকভাবে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণের জন্য সমন্বিত একটি সমীক্ষা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।’


আরো সংবাদ



premium cement