২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ট্রেন থামিয়ে যাত্রী না তোলায় পাথর নিক্ষেপ, চালকসহ রক্তাক্ত ৩০ যাত্রী

ট্রেন থামিয়ে যাত্রী না তোলায় পাথর নিক্ষেপ, চালকসহ রক্তাক্ত ৩০ যাত্রী - ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে ট্রেন থামিয়ে যাত্রী না তোলায় পাথর নিক্ষেপ করেছে মেলায় আসা দর্শনার্থীরা। এর ফলে ট্রেনের উইন্ডো গ্লাস ভেঙে সহকারী চালকের হাত কেটে গেছে। এ ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছেন ট্রেনের অন্তত ৩০ যাত্রী।

গতকাল রোববার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মানিকখালি ও সরারচর স্টেশনের মাঝের এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর গোধূলী ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।

ট্রেন কর্তৃপক্ষ ও যাত্রী সূত্রে জানা গেছে, রোববার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ওই ট্রেনটি মানিকখালি এলাকায় পৌঁছলে, সেখানে মেলায় অংশ নেয়া যুবকরা ট্রেন থামিয়ে উঠতে চায়। জায়গাটি কোনো স্টেশন না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ না দাঁড়িয়ে ট্রেন চালিয়ে যায়। এ সময় মেলায় অংশ নেয়া যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে চলন্ত ট্রেনটি লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের ছোড়া পাথরের আঘাত থেকে রেহাই পাননি সাধারণ যাত্রীরাও।

জানা গেছে, এ পাথর হামলায় অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন। এছাড়া ট্রেনটির লোকোমোটিভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ ট্রেনের লুকিং গ্লাস, চালক ও সহকারী চালকের রুমের জানালার কাচ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছে পাথরের আঘাতে। ট্রেনটির গার্ড ব্রেকেও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।

আহত সহকারী ট্রেনচালক মো: কাওছার হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নিজের আইডি থেকে চলন্ত ট্রেনে হামলার একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সরারচর মানিকখালী সেকশনে যে মেলা হয়, সেখানে স্টপেজের কোনো কন্ট্রোল অর্ডার নেই। কিংবা কোনো স্টেশনের মাস্টার ইনফর্ম করেননি। সুতরাং ট্রেন দাঁড়ানোর যুক্তিই আসে না। ওই স্থানে না দাঁড়ানোর জন্য একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করে যাত্রীদের আহত করেছে। আমার হাত কেটে গেছে। প্রাণে বেঁচে গেছি, এজন্য মহান আল্লাহ-তায়ালার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।’

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনাটি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ট্রেনে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যরাও তাদের কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন।

সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার মো: কাওছার হোসেন বলেন, ‘সচরাচর স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে আসার পর রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মানিকখালী পৌঁছার পর এ হামলা হয়েছে। ট্রেনটি এখানে থামানোর নির্দেশনা ছিল না। তাই এখানে আমরা ট্রেনটি থামাইনি। মূলত না থামানোর কারণেই বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করেছে। ওই পাথরের আঘাতে ট্রেনের লোকোমোটিভ এলএস উইন্ডো গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমার হাত কেটে যায়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারাই ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ট্রেনটি সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কমলাপুরের উদ্দেশে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করেছে।’


আরো সংবাদ



premium cement