১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাবা-ছেলে একসাথে জি‌পিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ

বাবা এখলাস উদ্দিন নয়ন ও ছেলে মোহাম্মদ রায়হান। - ছবি : সংগৃহীত

লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই। এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বাবা-ছেলে একসাথে পাশ করে ব্যতিক্রমী সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ৪৫ বছর বয়সী মো: এখলাস উদ্দিন নয়ন।

এখলাস উদ্দিন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) সালমা আক্তার রুবি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় তিনি এখলাস উদ্দিন নয়নকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই, এখলাস উদ্দিন নয়ন তা প্রমাণ করেছেন। এখন তিনি সুন্দর সমাজ গঠনে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন বলেও আশা করছি।

জানা গেছে, ছেলে-মেয়ে নিয়ে চার সদস্যের সংসার এখলাছ উদ্দিন নয়নের। এরমধ্যে মেয়ে আঁখি আক্তার ইতোমধ্যে বিএ পাশ করেছেন। আর ছোট ছেলে রায়হান বাবা সাথে এবার পাশ করেছে এসএসসি। এখলাস উদ্দিন নয়ন পাশের কেন্দুয়া উপজেলার মগরাই আদর্শ কারিগরি ইন্সটিটিউট থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তার ছেলে মোহাম্মদ রায়হানও (১৭) পেয়েছেন জিপিএ-৫। তিনি গৌরীপুর টেনকিক্যাল স্কুল আন্ড কলেজের শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে এখলাস উদ্দিন নয়ন জানান, বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে আমার লেখাপড়া করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু স্ত্রী সমলা বেগমের কারণেই ছেলের সাথে আমাকেও পরীক্ষা দিতে হয়। লেখাপড়ায় আমার চেয়ে তার আগ্রহ বেশি।

তিনি আরো বলেন, পরীক্ষা দেয়ার সময় কিছুটা শরম লাগলেও ফলাফল পেয়ে এখন ভালো লাগছে। নিয়ত করেছি ছেলের সাথে আমিও কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাব।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মগরাইল আদর্শ কারিগরি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এখলাছ উদ্দীন নয়ন আমার প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষার্থী। তিনি এ বছর আমার প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। এ বয়সে এসে তার এমন ফলাফলে
আমরা গর্বিত।

এ খবরে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ। তিনি বলেন, খবরটি শুনে ভালো লেগেছে। শিক্ষার কোনো বয়স নেই, শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। অদম্য এই বাবাকে দেখে সাধারণ মানুষ লেখাপড়ায়
আরো অনুপ্রাণিত হবে বলেও মনে করছি।


আরো সংবাদ



premium cement