১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গৌরীপুর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হত্যা মামলায় রায় ১০ অক্টোবর : পৌর মেয়রসহ কারাগা‌রে ১৯

- ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলার আসামি গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদসহ ১৯ জনকে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আলোচিত এ মামলার রায়ের দিন ১০ অক্টোবর ধার্য্য করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির দিনে বিচারক মনির কামালের আদেশে আসামিদের হাজতে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের তিন নম্বর আদালতে মামলার শুনানি শেষে বিচারক মনির কামাল আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান।

তিনি জানান, বিজ্ঞ বিচারক এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর নির্ধারণ করেন। আসামিরা হলেন গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ১ নম্বর মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ (৩৯), তার ভাই মাসুদ পারভেজ কার্জন (২৭), উত্তরবাজার পশ্চিম লাইনের জুলমান রেজা অলির ছেলে সাকিব আহম্মেদ রেজা (২৮), পশ্চিম লামাপাড়ার আব্দুল হেলিমের ছেলে মোজাম্মেল হক (৩০), পশ্চিম কাউরাটের মৃত লাল মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম (৩০), পশ্চিম ভালুকার মৃত মাহবুর রহমান মাস্টার কাদেরের ছেলে রিফাত (২৫), পশ্চিম কাউরাটের মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ হানিফ ওরফে আবু হানিফা (৩০), ইউনুছ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৮), মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মজিবুর রহমান (৩০), আইনুল হকের ছেলে শরীয়তউল্লাহ সুমন (৩৩), পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম (৪৮), অপর ভাই সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল (৩৮), পশ্চিম কাউরাটের চান মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (৩২), কাউরাট মধ্যপাড়ার মৃত ঈমান আলীর ছেলে কামাল মিয়া (৩৫), আব্দুল হেলিমের ছেলে মাঈন উদ্দিন (২০), পশ্চিম লামাপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে শরীফুল ইসলাম নাঈম (২২), পশ্চিম কাউরাটের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে রুহুল আমিন (২৮) ও পৌর শহরের রিস্কাপট্টি কচিকাচার মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান মিয়া (২৫), ছাত্রদল কর্মী শরীয়ত উল্লাহ সুমন (২৫) ও খাইরুল ইসলাম (২৭)।

তিনি আরো জানান, ‘গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদসহ ১৯ জনের বিচারিক কার্যক্রম ঢাকার দু’নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শেষ হয়েছে। মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ইতোমধ্যে আমরা ১৭ জনের সাক্ষ্য দিয়েছি। এ মামলায় আসামি পক্ষের আটজন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমরা আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।’

জানা যায়, গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র। ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর শহরের মধ্যবাজার পানমহালে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন বিচারের দাবিতে টানা ২১ দিন সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। ২০২১ সালের ৫ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (বর্তমানে ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ) শাহ কামাল আকন্দ। প্রতিবেদনে চার্জশীটভুক্ত ১৪ জন ছাড়াও মামলার তদন্তকারী অফিসার অনুসন্ধানে আরো পাঁচজনের সম্পৃক্ত পাওয়ায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে এ প্রতিবেদন দেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর চিঠিতে জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২২ নভেম্বর তারিখে প্রকাশিত গেজেটে এক প্রজ্ঞাপনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনে মামলাটি বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর পৌর শহরের পানমহালে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শুভ্রকে। হত্যার বিচার চেয়ে শুভ্রর ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত গৌরীপুর থানায় মামলা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement