১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বছর ঘুরলেই সে একই দুঃখ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চায় দেওয়ানগঞ্জ পৌরবাসী

বছর ঘুরলেই সে একই দুঃখ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চায় দেওয়ানগঞ্জ পৌরবাসী - ছবি : প্রতীকী

দেখতে দেখতেই বছর ঘুরে। আসে বর্ষা-বন্যা। বন্যার শুরুতেই তলিয়ে যায় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকা। সেইসাথে তলিয়ে যায় উপজেলা পরিষদ এবং পরিষদের সবগুলো অফিস। বন্ধ হয় কার্যক্রম। সরিয়ে নেয়া হয় অফিস। কাজ চলে অস্থায়ী জায়গায়। অসুবিধার শেষ থাকে না। বেশির ভাগ বাসা-বাড়িতে ওঠে পানি। নিমজ্জিত হয় পথ-ঘাট, হাট বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়। মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।

দেওয়ানগঞ্জ পৌরবাসীর একমাত্র প্রধান দাবি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের। বন্যাকালে কেউ ত্রাণ দিতে গেলে সবাই বলে আমরা ত্রাণ সাহায্য চাই না, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চাই। এ দাবি তারা জানিয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৭০-৮০-এর দশকে দেওয়ানগঞ্জকে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৫-২০ কি.মি. জুড়ে নির্মাণ করেছিল হরিণধরা বাঁধ। বেশ কাজে লেগেছিল প্রায় এক দশক। বন্যা ও নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেয়ে ছিল এলাকাবাসী। পরবর্তীকালে গৃহহীন মানুষ, নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবার ও বন্যায় তলিয়ে যাওয়া লোকজন এসে বসতি গড়ে তোলে বাঁধের ওপর ও বাধের কোলঘেষে। এ অবস্থায় বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে ও ধ্বসে যায়। দুর্দশা শুরু হয় আবার। বন্যার শুরুতেই ঢুকে পড়ে পানি দেওয়ানগঞ্জে। সেই থেকে অদ্যাবধি মানুষের দুর্ভোগ চলেই আসছে।

বর্তমান সরকারের আমলে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কাজও হয় অনেকটা, কিন্তু বৃহৎ এলাকাজুড়ে অরক্ষিত রয়ে যায়। এজন্য প্রতিবছর বন্যার শুরুতেই উপজেলা সদরে ঢুকে পড়ে পানি। তলিয়ে যায় উপজেলা পরিষদ, রেল স্টেশন, জিল বাংলা চিনিকল, হাট বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পথ-ঘাট, ফসলাদি। দেওয়ানগঞ্জ পৌরবাসীর একমাত্র প্রধান এ দাবিটি স্থানীয় সংসদ সদস্য, পাউবোসহ এমন কোনো জায়গা নেই জানানো হয়নি। কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি আজো।


আরো সংবাদ



premium cement