নালিতাবাড়ীতে নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, থানায় অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মরিচপুরান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে (বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে চারজন আহত হয়েছে। শনিবার রাতে মরিচপুরান বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার শফিক আহমেদের পক্ষে মরিচপুরান বাজারে নৌকার মিছিল বের হয়ে বাশকান্দার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় মরিচপুরান বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: নজরুল ইসলামের মোটরসাইকেল প্রতীকের কার্যালয়ে শফিকের কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে দুই কর্মীকে মারধর করেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল। এ ছাড়া মরিচপুরান বাজারে কয়েকটি দোকানেও হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

পুলিশ চলে গেলে রাত নয়টার দিকে নজরুল ইসলামসহ তার কর্মী-সমর্থকেরা কার্যালয়ে ফিরে আসেন। এ সময় অটোরিকশায় করে শফিকের কর্মী-সমর্থকেরা মরিচপুরান বাজারে এলে নজরুলের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের ওপর পাল্টা হামলা চালান। এতে অটোরিকশাচালক মো: ফরহাদ মিয়াসহ চারজন আহত হন। রাত সোয়া নয়টার দিকে শফিকের ছোট ভাই রুবেল মিয়া এক কর্মীকে নিয়ে মরিচপুরান বাজারে গেলে নজরুলের কর্মী-সমর্থকেরা দু’জনকে বেঁধে রাখেন। এ ঘটনায় আবারো পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, মিছিল থেকে নৌকার কর্মী ও সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে আমার নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। কয়েকটি দোকানে হামলা করেছে। হামলায় আমার দুই কর্মী মারপিটের শিকার হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে খন্দকার শফিক আহমেদ বলেন, ‘বাঁশকান্দা বাজারে নির্বাচনী সভায় যাওয়ার পথে নজরুলের কর্মীরা নৌকার কয়েক কর্মীকে আটক করে। আমার ছোট ভাইসহ এক কর্মীকে আটক করেছিল। নজরুলের কর্মীদের হামলায় অটোচালক ফরহাদসহ চারজন আহত হয়েছেন। কোনো দোকান পাট বা অফিস ভাংচুর হয় নাই।
এখন পরিবেশ স্বাভাবিক।’

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বলেন, দুই পক্ষের দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।