রিকশাচালকের তথ্যে ইসলামপুরে নিখোঁজ সেই ৩ ছাত্রী উদ্ধার
- ইসলামপুর (জামালপুর) সংবাদদাতা
- ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪৫, আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৪২
নিখোঁজের পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর মুগদা থানার মান্ডা এলাকা থেকে জামালপুর ইসলামপুরের দারুত তাক্বওয়া মহিলা কওমি মাদরাসার আবাসিক হল থেকে নিখোঁজ হওয়া দ্বিতীয় শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করছে পুলিশ।
উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইসলামপুর সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ মো.সুমন মিয়া, পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কবির হোসেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মোড়ল। উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো-ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার (৯), গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভুকুড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন (১১), ও সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্য ভানু (১০)।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) মো: সুমন মিয়া বলেন, ইসলামপুর থানা সিসি টিভির ফুটেজ ও কমলাপুর রেলস্টেশনের সিসি টিভি ফুটেজের সূত্র ধরে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে পুলিশ বিভিন্ন সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালায়।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে তিন ছাত্রীদের শনাক্ত করা হয়। ঢাকার রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মুগদা থানার মান্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজা মিয়া (১৫) নামের এক রিকশাওয়ালার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া বলেন, সরল বিশ্বাসে তিন শিশুকে নিজের ছোট বোন মনে করে সে তার বাসায় আশ্রয় দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ইসলামপুরের গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার সভুকুড়া দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ওই তিন ছাত্রী গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে মাদরাসার আবাসিক হল থেকে নিখোঁজ হয়। মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আসাদুজ্জামান জানান, রোববার ভোররাতে শিক্ষকরা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। অন্য ছাত্রীদের মতোই নিখোঁজ শিশুরাও নামাজের প্রস্তুতি নেয়। নামাজের পর তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মাদরাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ ) মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান ইসলামপুর থানায় একটি জিডি করেন। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে নিখোঁজ শিশু মনিরার বাবা বাদি হয়ে চার শিক্ষকসহ অজ্ঞাত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করেন।
১৫ সেপ্টেম্বর সকালে পুলিশ মাদরাসার চার শিক্ষককে আটক করে সকল ছাত্রীকে অভিভাবকদের নিকট বুঝিয়ে দিয়ে মাদরাসাটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ওইদিন আটক শিক্ষকদের মানবপাচার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করেন। আাদালত জামিন নামঞ্জুর করে ২০ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা