২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জামালপুরে প্রস্তুত প্রায় ২৯ হাজার কোরবানির পশু

জমিদারকে ক্যাটেল ট্রেনে ঢাকা নেয়ার চিন্তা মালিকের। - ছবি : নয়া দিগন্ত

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামালপুরে ২৮ হাজার ৭২৬টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের কারণে পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারীরা। বছর ধরে খামারে শ্রম ও বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে এখন পশু বিক্রি ও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় ৯ হাজার ২০৮টি খামারে ১১ হাজার ৯৫৮টি ষাঁড়, ১ হাজার ৮৫০টি বলদ, ৫১১টি মহিষ, ৬৪৭৮টি গাভী, ৬৩৮৬টি ছাগল, ১৫০৯টি ভেড়া এবং অন্যান্য ১৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে।

ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর খলিফাপাড়ার গরু খামারি ফারুক বলেন, চার বছর আগে গরুর খামার শুরু করি। দুই বছর কিছুটা লাভ হলেও গত বছর করোনার জন্য গরু বিক্রি করতে না পারায় লোকসান গুনতে হয়েছে। ব্যাংক ঋণ নিয়ে আবার খামারে গরু পালন শুরু করি। আমার খামারে ২৫টি ষাঁড় গরু আছে। এ বছরও করোনার কারণে যদি ভালো দামে গরু বিক্রি করতে না পারি তবে পথে বসে যাব। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারব না।

গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ার চর গ্রামের এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি মিল্ক ফার্মের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রাজ্জাক সরদার বলেন, গত বছর কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুনেছি। এ বছর আমার ফার্মে জমিদারসহ ১০টি ষাঁড় গরু রয়েছে। জমিদারের ওজন সাড়ে ২৯ মণ। করোনার কারণে জমিদারকে কিভাবে বিক্রি করব তা বুঝে উঠতে পারছি না। স্থানীয় বেপারীরা ৮-৯ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকছে। ক্যাটেল ট্রেন চালু হলে
ঢাকায় নেয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুলাই দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ ও জামালপুর থেকে স্পেশাল ক্যাটেল ট্রেনের মাধ্যমে কুরবানীর পশু ঢাকা-চট্টগ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান বলেন, আমরা শিগগিরই অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা শুরু করবো। সরকারি ভাবে ঘোষিত হলে স্থানীয় হাট-বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement