১ প্যাকেট ত্রাণের জন্য দিনভর অপেক্ষায় জমিদারের নাতি
- খাদেমুল বাবুল, ইসলামপুর (জামালপুর)
- ১০ জুলাই ২০২১, ১৬:১১
এমরুল কায়েস পলাশ পাহলোয়ান। জমিদার নুরুল হুদা পাহলোয়নের নাতি তিনি। পশ্চিম জামালপুরের ধনাঢ্য-সম্ভ্রান্ত পাহলোয়ান পরিবারের এই সদস্য এক মুঠো ত্রাণ সামগ্রীর জন্য শুক্রবার দিনভর অপেক্ষা করেন তিনি।
পলাশের দাদা নুরুল হুদা পাহলোয়ন ছিলেন, কয়েক হাজার একর জমির মালিক ও উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের একাধিকবারের চেয়ারম্যান। জেঠা কামরুজ্জামান পাহলোয়ান দুদু মিয়া ও বাবা কাইজার পাহলোয়ানও ওই ইউনিয়নের একাধিকবার চেয়ারম্যান
ছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, প্রভাব-প্রতিপত্তি, সহায়-সম্পত্তি, নেতৃত্ব কি ছিল না পাহলোয়ান পরিবারের। গুঠাইল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিনাডুলী উচ্চ বিদ্যালয়, ফাজিল মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢেংগাড়গড় নুরুল হুদা আলিয়া মাদরাসা, ইসলামপুর নেকজাহান পাইলট মডেল সরকারি হাই স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য শিক্ষা ও সামাজিকপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় পাহালোয়ান পরিবারের রয়েছে সীমাহীন অবদান।
যমুনার অব্যাহত ভাঙনে জমি-জমা ও বসতভিটা হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। কালের বিবর্তনে এক সময়ের জমিদার পরিবারের অনেক সদস্য এখন পথের ভিখারি। পলাশ পাহলোয়ানের বাবা কাইজা পাহলোয়ান চিনাডুলী ইউনিয়নের তিনবার চেয়ারম্যান ছিলেন। অথচ এক মুঠো ত্রাণের জন্য পলাশকে মেয়রের দরজায় অপেক্ষায় করতে হয় দিনভর। শুক্রবার বিকেলে পৌর ভবনের সামনে স্ত্রীসহ দেখা হয় পলাশকে। তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান মেয়র কোন সময় আসবেন। এ সময় এক প্যাকেট ত্রাণের জন্য মেয়রের কাছে সুপারিশ করতে অনুরোধ করেন তিনি। পৌরসভার কনজারভেটিভ অফিসার জুলফিকার আলী ভট্টো এক প্যাকেট ত্রাণ দিতে চাইলে হাসিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠে পলাশের মুখ।
পলাশ বলেন, বর্তমানে পৌর এলাকার ইসলামপুরে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটে তার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা