১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৬ গ্রামবাসীর সংঘর্ষের প্রস্তুতি, বৃষ্টিতে পণ্ড

মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৬ গ্রামবাসীর সংঘর্ষের প্রস্তুতি, বৃষ্টিতে পণ্ড - ছবি- নয়া দিগন্ত

নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল মদনে দু’পক্ষের মধ্যে চলমান বিরোধের জের ধরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছয়টি গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। তবে শেষ পর্যস্ত প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়া তথা বৃষ্টির কারণে সংঘর্ষ বাঁধেনি।

জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন এলাকবাসী। এমন প্রেক্ষাপটে প্রাণহানীর আশঙ্কায় বহু নারী-পুরুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। মদন উপজেলার পল্লীতে এই অবস্থা বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের মানিক মিয়া জনতা বাজারের দুই শতাংশ ভূমি সম্প্রতি একই ইউনিয়নের মাখনা গ্রামের ফৌজদার মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। ফৌজদার মিয়া ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করায় এলাকাবাসী ও বাজার কমিটির লোকজন তা ভেঙে ফেলেন। একইসাথে সেখানে মানিক মিয়ার ঘরও ভেঙে ফেলা হয়। এই ঘটনায় ফৌজদার মিয়ার ছেলে সোহেল খান ২০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে বাজার কমিটির সভাপতি আজিজুর হকসহ আরো ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই জের ধরে নোয়াগাঁও, বাউসা, তালুককারাই, আরমশ্রী, সোনাখালী পাঁচদল একত্রিত হয়ে মাখনা গ্রামের সাথে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ওই সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহতের ঘটনা ঘটে। সেই থেকে পাঁচ মাস ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে আসছে এলাকায়। পাঁচ মাস ধরে জনতা বাজারে মাখনা গ্রামের লোকজন ভয়ে সেখানে যেতে না পারায় এখনো তাদের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে নায়েকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান জানান, দীঘ দিন ধরে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে আপস মীমাংসার আপ্রাণ চেষ্টার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের জন্য ছয়নি গ্রামের লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। সংঘর্ষ বেঁধে গেলে একাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম গণমাধ্যমকে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে উত্তেজনা চলে আসছে। এরই জের ধরে শনিবার ৬ গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হতে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। তবে বৃষ্টির কারণে ও প্রশাসনের তৎপরতায় সংঘর্ষ হয়নি। পরেও যাতে না হয় এজন্য পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement