২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈশ্বরগঞ্জে গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে গৃহকর্ত্রী

ঈশ্বরগঞ্জে গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে গৃহকর্ত্রী - ছবি : প্রতীকী

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের এক তরুণী ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। এ সময় লাশ নিয়ে বাড়িতে গেলে স্থানীয় লোকজন গৃহকর্ত্রীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহকর্ত্রীকে আটক করা হয়।

উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মারুয়াখালী গ্রামের তোতা মিয়ার মেয়ে তানিয়া আক্তার (১৭)। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। তার বাবা পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে কয়েক মাস ধরে কাজে যেতে পারেন না। ওই অবস্থায় বড় সংসারের বোঝা সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়ে পরিবারটির। এ অবস্থায় পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে তানিয়া আক্তার ঢাকার বনানী এলাকায় এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজে যান। সাড়ে তিন মাস আগে প্রতিমাসে ছয় হাজার টাকা বেতনে কাজে যোগ দেন। তানিয়াদের পাশের গ্রামের আবদুল কাদির বনানীর ওই বাসায় তাকে কাজে নিয়ে যান। কাজে যোগ দেয়ার পর গত আড়াই মাস আগে তার বাবার বিকাশ নম্বরে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন তানিয়ার গৃহকর্ত্রী। পরে আর টাকা পাঠাননি তিনি।

এর মধ্যে শুক্রবার দুপুরে তানিয়ার বাবার মুঠোফোনে গৃহকর্ত্রী বদরুন নাহার ফোন করেন। তানিয়ার অসুস্থ্যতার কথা জানিয়ে দ্রুত বনানী যেতে বলেন তাদের। মেয়ের অসুস্থ্যতার কথা শুনে পরিবারের লোকজন রওনা দেন মেয়ের কাছে যেতে। কিন্তু গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় যেতেই বিকেলে ফের ফোন আসে তানিয়ার বাবার ফোনে। তাদের বলা হয় তানিয়াকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। ওই সময় তানিয়ার বাবা তাদের অবস্থানের কথা জানালে সেখানেই অপেক্ষা করতে বলা হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে থামে পরিবারটির কাছে। ভেতরে ছিল তানিয়ার নিথর দেহ। সাথে ছিল গৃহকর্ত্রী বদরুন নাহার। সেখান থেকে গৃহকর্ত্রী পালিয়ে যেতে চাইলেও কৌশলে নিয়ে যাওয়ায় তানিয়ার বাড়িতে। পরে সেখানে এলাকার লোকজন গৃহকর্ত্রী বদরুন নাহারকে একটি ঘরে আটকে খবর দেন আঠারবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের কাছে।

পুলিশ বিষয়টি পর্যালোচনা করে শনিবার বেলা ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তানিয়াকে বহনকরা অ্যাম্বুলেন্সটি ও চালককে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানিয়ার গৃহকর্ত্রী বদরুন নাহারকেও পুলিশ হেফাজতে নেয়।

কিন্তু হেফাজতে থাকা বদরুন নাহার জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন তথ্য দিতে শুরু করেছে পুলিশের কাছে। নিজের সঠিক কোনো পরিচয় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের কাছে প্রকাশ করেনি ওই নারী। তানিয়ার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডায়রিয়া কথা জানিয়েছেন বদরুন নাহার।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবদুল কাদের মিয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। গৃহকর্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজার ২টি হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান, তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের তীব্র তাপদাহে পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা মাতামুহুরিতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ২ আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ ফেনীতে ইসতিসকার নামাজে মুসল্লির ঢল গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে ইসরাইলের সামরিক ব্যয় মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা : কাদের গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি ২৫ জুন বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৩টি সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধন

সকল