২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোমেশ্বরী নদী ভাঙ্গনে আতঙ্কে ৯ গ্রামের বাসিন্দা

সোমেশ্বরী নদী ভাঙ্গনে আতঙ্কে ৯ গ্রামের বাসিন্দা - নয়া দিগন্ত

নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী সুসং দুর্গাপুরে মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর অব্যাহত ভাঙ্গনে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উপজেলার ৯ গ্রামের বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। তাই নদী তীরের নারী-পুরুষ উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। আবার অনেকেই বাড়ি-ঘর ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।

পাহাড়ি খরস্রোতা সোমেশ্বরীর ভাঙ্গনে, উপজেলার, কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কামারখালী, ভুলিপাড়া, বড়ইকান্দি বিজয়পুর, রানীখংসহ ৯ গ্রামের বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা এখন ভাঙ্গনের কবলে। ভাঙ্গন ঠেকাতে এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে চাঁদাতুলে ভাঙ্গন এলাকায় বস্তা ফেলে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অসময়ে টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে আবারো ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

ইতোপূর্বে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ার কারণে নদীর বিভিন্ন স্থানে ভূমিদস্যুরা ইচ্ছামতো কয়েক ডজন ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে কিছুতেই ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছে না। বালু বিক্রি করে ক্ষমতাসীন নেতা-কর্মীসহ প্রভাবশালী অনেকেই কোটিপতি হলেও সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া নিয়ে যারা বালু উত্তোলন করছেন তারা নিদিষ্ট পরিমানের চেয়ে শত শত গুণ বেশি বালু উত্তোলন করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে এ বিষয়ে নীরবতা পালন করে যাচ্ছেন।

প্রতিদিন গড়ে সোমেশ্বরী নদীর তীর থেকে অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার ট্রাক ভর্তি বালু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেয়া হয়ে থাকে। এ নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হলেও আশ্বাসবাণী ছাড়া এ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য জোর সুপারিশসহ প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন করে বরাদ্দ দেয়া হলেই কাজ শুরু করা হবে। ততোদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement