দেওয়ানগঞ্জে বিপৎসীমার ১১ সেমি উপরে পানি, তলিয়ে গেছে ফসল
- দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা
- ০২ অক্টোবর ২০২০, ১৮:২৬
গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও ভারতের গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। চতুর্থ দফা বন্যার ধকল কাটিয়ে না উঠতেই ফের বন্যার আশংঙ্কায় কৃষক এবং এলাকাবাসী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে হাজার হাজার একর জমির রোপা চারা পানিতে ডুবে থাকায় পচন ধরেছে, নতুন করে লাগানো আমন, রোপা আউশ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া চরাঞ্চলের পাকা বর্ণালী ধানসহ মাসকালাই, মরিচ ও শীতকালীন আগাম সবজি তলিয়ে গেছে।
গত তিন মাসের মধ্যে পঞ্চম দফা বন্যায় তছনছ হয়ে গেছে দরিদ্র কৃষকদের আর্থিক মেরুদণ্ড। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার আট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির সাথে নদ-নদীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। খোলাবাড়ী, মণ্ডল বাজার, বরখাল, পোল্যাকান্দি, ফারাজিপাড়া, নামাপাড়া, সবুজপুর, বাছেদপুর, কাঠারবিল, সানন্দবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার দিলরুবা ইয়াসমিন জানান, এবারে ৮ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়ে গেছে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া জানান, এবারে উপর্যুপরি বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ বিতরণ, পরামর্শ ও নানাবিধ সহায়তা করা হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে। ফের নদ-নদীতে পানি বাড়ছে বলে শোনা যাচ্ছে। বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার এনামুল হাসান জানান, শুক্রবার যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আমি নতুন করে তলিয়ে যাওয়া গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ন প্রকল্প ও নিম্নাঞ্চল সমূহে পরিদর্শনে রয়েছি। আশা করি আগামীকাল থেকে পানি কমতে শুরু করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা