১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নালিতাবাড়ীতে চিকিৎসককে মারধর

অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে আলটিমেটাম
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান ও ওসি বছির আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। - ছবি : নয়া দিগন্ত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে রোগীর স্বজনরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবিতে জরুরি বিভাগ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ সেবা প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়।

পরে মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু ও নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহামেদ বাদলের আশ্বাসে ফের চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে।

তবে, দুই দিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার না করা হলে ফের বর্হিবিভাগ ও অর্ন্তবিভাগ সেবা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চিকিৎসকরা।

পুলিশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের জাঙ্ঘালিয়াকান্দা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (৩৫) অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার স্বজনেরা হাসপাতালে কর্মরত মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আবদুর রউফকে বাড়ি নিয়ে যান। বাড়ি গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর রোগীকে হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরে অসুস্থ শাকিলকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় শাকিলের স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল আকস্মিক জরুরি বিভাগে প্রবেশ করে ওই সময় দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলা শুরু করেন। পরে তারা চলে গেলে গুরুতর আহত দেলোয়ারকে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পরে রাতেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন হামলাকারী আসলাম হোসাইন, আমিনুল ইসলাম, রোমান মিয়া, মো: আবু রায়হান, অনিক মিয়া, আইয়ুব আলী, আবির হোসেন, নয়ন মিয়া, মো: আসাদ ও জাকির হোসেনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার পর থেকে অপরাধিদের শাস্তির দাবিতে ও নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে হাসপাতালের অর্ন্তবিভাগ ও বর্হিবিভাগের সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখা হয়। তবে জরুরি বিভাগ চালু রাখা হয়।

ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান ও ওসি বছির আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।


আরো সংবাদ



premium cement