ফেসবুকের কল্যাণে ঝিনাইগাতীতে পুড়ে যাওয়া মাদরাসার নির্মাণ কাজ শুরু
- এম খলিলুর রহমান, ঝিনাইগাতী (শেরপুর)
- ২৯ মে ২০২০, ১৬:১৩, আপডেট: ২৯ মে ২০২০, ১৬:০০
ফেসবুকের কল্যাণে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় আগুনে পুড়ে যাওয়া দারুল উলুম ডেফলাই আল আকসা মাদরাসার টিনশেড ঘরের স্থানে আধাপাকা ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে নিউজার্সিতে অবস্থিত জার্মানির একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির ফার্মা বিভাগের রিচার্ড ও ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এবং প্রধান গবেষক জাফর ইকবাল নামে এক ব্যক্তির আর্থিক সহায়তায় এ নির্মাণ কাজ চলছে।
জানা গেছে, গত ১২ মে (মঙ্গলবার) দিবাগতরাত সাড়ে দশটার দিকে এ মাদরাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই মাদরাসার ৭২ ফুট লম্বা একটি টিনসেড ঘর, ৭০ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাউপকরণ, আসবাবপত্র, ১৫টি ফ্যান, ২টি আইপিএস, ৩টি সোলারসহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়। পরে পুনারায় মাদরাসার ঘর নির্মাণে সরকার ও সমাজের বিত্তশালীদের নিকট সহযোগিতা চান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম।
এ নিয়ে গত ১৩ মে উপজেলার তরুণ সাংবাদিক, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী জাহিদুল হক মনির মাদরাসার ঘর নির্মাণের জন্য তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘সাহায্য চাই’ শিরোনামে একটি সচিত্র স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি তার ফেসবুক বন্ধু ও সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ স্ট্যাটাস দেখে গত ১৪ মে জাফর ইকবাল, সাংবাদিক মনিরের মাধ্যমে মাদরাসার পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করেন এবং একটি আধাপাকা ঘর নির্মাণ ও শিক্ষাউপকরণসহ যাবতীয় মালামাল ক্রয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন বলে জানান। জাফর ইকবাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগ থেকে অনার্স ও মার্স্টাস করেন। পরে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ওষুধ বিজ্ঞানে ডক্টোরেট ও পরে এমবিএ করেন। বিজ্ঞানী হয়েও তিনি পেশায় একজন ফার্মাস্টিট যিনি নিজের ফার্মেসিতেই অন্যান্য ফার্মাসিস্টদের সাথে কর্মরত রয়েছেন। ইতিমধ্যেই জাফর দুই ধাপে ২ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৯ মে) সকালে গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া মাদরাসা ঘরের নির্মাণে কাজ করছেন ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক। ইতোমধ্যেই ৭৩ ফুট দৈর্ঘ্যের ঘরের জন্য ১৪টি শর্ট কলামের কাজ শেষ হয়েছে। কাজ দেখভাল করছেন মাদরাসার পরিচালকসহ সহকারী শিক্ষকরা।
মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মাদরাসার ঘর নির্মাণসহ যাবতীয় মালামাল ক্রয়ে শিক্ষানুরাগী জাফর ইকবাল পর্যায়ক্রমে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন।’
মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ক্বারি কাশেম বলেন, ‘মাদরাসার টিনসেড ঘরটি পুড়ে যাওয়ার পর খুবই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। এ ৭০ জন শিক্ষার্থীর কি হবে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে জাফর সাহেবের উছিলায় টিনের ঘরে পরির্বতে ওই স্থানে আধাপাকা ঘরের নির্মাণ কাজের এক সপ্তাহ চলছে। আশা করছি অর্থের যোগান ঠিক থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারব। জাফর ও সাংবাদিক জাহিদুল হক মনিরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা