১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গৌরীপুরে ১০ টাকা কেজির ৯২ বস্তা চাল উদ্ধার

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫০ কেজি ওজনের ৯২ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ভুটিয়ারকোণা বাজারে গুদাম থেকে সোমবার ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’দফা অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ চালগুলো উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আজাহারুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেও এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে মূল হোতারা।

সুবিধাবঞ্চিতরা জানান, দীর্ঘ সাড়ে চার বছর ধরে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল স্থানীয় সুবিধাভোগীদের না দিয়ে ডিলার ও সংশ্লিষ্টরা কালোবাজারে বিক্রি করে আসছে। সম্প্রতি করোনায় খাদ্য সঙ্কটের কারণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রকৃত সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রকাশ পায়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মাওহা ইউনিয়নের চাল না পাওয়া সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। চাল বিক্রির অনিয়মের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীরা ডিলারদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। এলাকাবাসী খবর পায় যে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারের জন্য ভুটিয়ারকোণা বাজারে দুইট গুদাম ঘরে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হলে ঘটনাটি প্রচার হয়ে স্থানীয় প্রশাসন পর্যন্ত গড়ায়।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই আলোচনা ছিল মাওহা ইউনিয়নের ভুটিয়ারকোণা বাজারের উইমেন্স কর্ণানের একটি ঘরে চাল ব্যবসায়ী আজাহারুল ইসলামের ঘরে ১০ টাকা কেজি দরের চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে। পরে কোনো এক সময় ওই চালের বস্তাগুলো পাচার করা হবে। এ খবর গোপনে পৌঁছে যায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেজুঁতি ধর ওসিসহ এক দল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুদামে চালের বস্তার সন্ধান পান। এ সময় ব্যবসায়ী আজাহারুল ইসলামকে আটকসহ চাল জব্ধ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার মামলার পর ফের খবর আসে মতি মার্কেটের ফজলু মুন্সির দোকানে আরো চাল রয়েছে।

এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে সেখানেও পুলিশ গিয়ে সার্টারের তালা ভেঙ্গে মোট ৬৭ বস্তা চাল জব্ধ করা হয়। কিন্তু ওই ঘটনার সাথে জড়িত ফজলু মুন্সিকে পাওয়া যায়নি।

জানা যায় এই এলাকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার হচ্ছেন মো: আব্দুল জব্বার। তার কাছ থেকে নেওয়া হতদরিদ্রদের কার্ডের বরাদ্ধকৃত চাল বেশী দামে কিনে পাচারের উদ্যেশে রেখেছিল ওই দুই ব্যবসায়ী। এ ব্যপারে কথা বলতে চাইলে ডিলার জব্বারের মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

ইউএনও সেজুঁতি ধর জানান, এই চালগুলো সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল। পাচারের উদ্যেশে চাল গুলি জমা করে রাখা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে গেীরীপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, একটি মামলা সম্পন্ন, অন্যটি প্রক্রিয়াধীন।


আরো সংবাদ



premium cement