২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জামালপুরে হাসপাতালের স্টাফরা হোম কোয়ারেন্টাইনে

- প্রতীকী ছবি

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক ফার্মাসিস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা স্টাফদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

ফলে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত রোববার (৫ এপ্রিল) মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই ফার্মাসিস্টের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে ওই ফার্মাসিস্টের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। গত বুধবার (৮ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। জামালপুর সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

করোনা শনাক্ত হওয়া ওই ফার্মাসিস্ট টানা ১০ বছর ধরে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন এবং হাসপাতালের আবাসিক ভবনে বসবাস করতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার গোহাট্রা গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) তিনি গোপালপুরের গোহাট্রায় তার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই বাড়িতে ঢাকা থেকে তাদের কয়েকজন আত্মীয় বেড়াতে এসেছিলেন। গত শুক্রবার (৩ এপ্রিল) তিনি নিজ গ্রামের মসজিদে জুমার নামাজও পড়েন। এরপর গত শনিবার (৪ এপ্রিল) কর্মস্থলে যোগদান করেন। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ওষুধ বিতরণ এবং জরুরি বিভাগ ও আবাসিক বিভাগে ওষুধ সরবরাহ করতেন তিনি।

এদিকে, মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাক্তার তানভীর আহমেদ জানান, সীমিত আকারে জরুরি বিভাগ চলছে। সকল স্টাফ না থাকায় যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এব্যাপারে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ওই ফার্মাসিস্টের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ওই হাসপাতালে কর্মরত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ রোগীর সংস্পর্শে আসা ডাক্তার ও স্টাফদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের ইটভাটা থেকে ৬০ জন শ্রমিক ট্রাকযোগে মাদারগঞ্জে আসে। এরপর মাদারগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির ও বালিজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক তাদেরকে মাদারগঞ্জ পাইলট হাইস্কুল মাঠে একত্রিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার অঙ্গীকার করিয়ে বাড়িতে পাঠান।


আরো সংবাদ



premium cement