বিটিভি’র কণ্ঠশিল্পী দিপালীকে অপহরণের অভিযোগ
- এম মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী সংবাদদাতা
- ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১০:০৫
রাজবাড়ী জেলার জনপ্রিয় ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) কণ্ঠশিল্পী মোছা. আছিয়া আক্তার দিপালীকে (১৪) অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন দিপালীর বড় বোন অনন্যা আফরিন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারমিন নিগার মামলাটি আমলে নিয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) মামলাটি দায়ের করা হয়।
দিপালী জেলার সদর উপজেলার আলাদিপুর গ্রামের মৃত বিল্লাল সরদারের মেয়ে।
মামলার আসামিরা হলেন ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার চর বল্লবদী গ্রামের করিম খান (৫৭) ও তার ছেলে সুমন খান (৩৫) ও নয়ন খান (২২)। এর মধ্য সুমন রাজবাড়ী সদরের আলাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে অনন্যা আফরিন জানান, তার বোন দিপালী আলাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং রাজবাড়ী জেলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। এছাড়াও বিটিভি’তে গান করেন তার বোন। করিম খানের ছেলে নয়ন খান তার বোনকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন এবং মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করতেন। বিষয়টি তিনি করিম খান ও তার বড় ছেলে সুমন খানকে জানালেও তারা নয়নকে শাসন করেননি। উল্টো নয়নের সাথে দিপালীকে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেন। তার বোন নাবালিকা হওয়ায় এবং নয়ন বখাটে ছেলে হওয়াতে ওই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এরপর থেকে করিম, নয়ন ও সুমন পরস্পরের যোগসাজসে দিপালীর ক্ষতি করার পাঁয়তারা করতে থাকে।
তিনি আরো জানান, গত ৩১ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে দিপালী আলাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার জন্য যাচ্ছিল। এ সময় স্কুলের গেটের সামনে থেকে করিম, নয়ন ও সুমন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দিপালীকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে। দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও দিপালী বাড়ি না ফেরায় স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও ছোট বোনের কোনো খোঁজ পাননি তিনি। পরে স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় জানতে পারেন- করিম, নয়ন ও সুমন তার বোনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
অনন্যা আশঙ্কা করছেন, দিপালীকে কোনো নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করেছেন করিম, নয়ন ও সুমন অথবা ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন, কিংবা কোনো অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে অবৈধ কাজকর্ম করছেন।
এ ঘটনায় প্রথমে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন অনন্যা। তাই পরে বাধ্য হয়ে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা এখনো হাতে পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা