১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইসলামি সঙ্গীতে নিবেদিতপ্রাণ ইকবাল মাহমুদ

ইকবাল মাহমুদ - ছবি : সংগৃহীত

২০০৮ সালে শহর-গ্রামে সবখানে একটি ইসলামিক মরমি সঙ্গীত ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। 'কাফন আমার আপন/ কবর আমার ঘাটি/ ওই কবরে যেতে হবে/ থাকবে না কেউ সাথী।' কলরবের নির্বাহী পরিচালক সাঈদ আহমদের লেখা এই গান গেয়েছিলেন তরুণ শিল্পী ইকবাল মাহমুদ। এই গানেই তার উত্থান। এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সফলতা তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে।

তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন ফ্রিলান্সার হিসেবেও। গত তিন বছর ধরে 'লোগো এবং ব্রান্ডিং' ক্যাটাগরিতে সফলতার সাথে কাজ করে আসছেন শিল্পী ইকবাল মাহমুদ। তার প্রতিষ্ঠিত আইটি কোম্পানী 'ইতকান' অচিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে আলোর মুখ দেখবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাতক্ষীরা, দেবহাটার পারুলিয়ার ইয়াকুব আলীর প্রতিভাবান সন্তান ইকবাল মাহমুদ ইসলামিক মিউজিক ব্র্যান্ড কলরবে যোগ দেন ২০০৭ সালে। এরপরে একান্তে দীক্ষা নেন ইসলামি সঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ ও কলরবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আইনুদ্দীন আল আজাদের কাছ থেকে।

ইকবাল মাহমুদ নিজে গান গাওয়া ছাড়াও গান লেখেন ও সুর করেন। তার কম্পোজ করা বহু জনপ্রিয় গান ইতোমধ্যে কলরব ও তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইসলামি সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ২০০৮ ও ২০০৯ সালে তিনি পুরস্কার জেতেন। এছাড়াও জেলা ও বিভাগ পর্যায় থেকেও একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

ইকবাল মাহমুদের সুরকরা ও গাওয়া জনপ্রিয় সঙ্গীতের মধ্যে রয়েছে, 'কাফন আমার আপন', 'স্বপ্ন', 'ক্ষমা করে দাও', 'মুহাম্মাদ', 'ভবের খেলা', 'হামদে বারী তায়ালা', 'প্রিয়তমা জান্নাত', 'এলো রবিউল আউয়াল', 'বিপ্লবী বীর'।

ইসলামী সঙ্গীত নিয়ে ইকবাল মাহমুদ স্বপ্ন দেখেন ইসলামী বিপ্লবের। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো জাতি এগিয়ে যাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাদের সংস্কৃতি। আর আমরা যেসব গান গাই, এগুলো ইসলামি সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মানুষের মন ও মনন পরিবর্তনে ইসলামি সঙ্গীতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইনশাআল্লাহ, একদিন নাজায়েজ গানের পরিবর্তে প্রতিটি মুসলিম পরিবারে ইসলামি গানের জয় হবে।


আরো সংবাদ



premium cement