২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পুঁজিবাজারকে গতিশীল করবে

-

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মূলধন হারাচ্ছেন। আবার বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু এ বাজার কতদিন স্থায়ী থাকবে তা নিয়ে যেমন সংশয় রয়েছে, আবার অনেকেই বাজারের উত্থানের ধারাবাহিকতা দীর্ঘ মেয়াদে হবে এমনও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে পুঁজিবাজারের তহবিল জোগানের মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিই পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে পারবে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করাও সহজ হবে। এ নিয়ে নয়া দিগন্তের সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো: ছায়েদুর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম।
পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মূলধন হারাচ্ছেন। আবার বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু এ বাজার কতদিন স্থায়ী থাকবে তা নিয়ে যেমন সংশয় রয়েছে, আবার অনেকেই বাজারের উত্থানের ধারাবাহিকতা দীর্ঘ মেয়াদে হবে এমনও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে পুঁজিবাজারের তহবিল জোগানের মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিই পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে পারবে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করাও সহজ হবে। এ নিয়ে নয়া দিগন্তের সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো: ছায়েদুর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম।
নয়া দিগন্ত : পুঁজিবাজারে দীর্ঘ দিন যাবৎ পতনের মুখে রয়েছে। এ অবস্থার কারণ কী?
ছায়েদুর রহমান : আসলে অর্থের জোগানের ওপর নির্ভর করে পুঁজিবাজারের উত্থান-পতন। পুঁজিবাজারে অর্থের জোগান কমে গেছে। এর সাথে কমে গেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা। বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরও বিনিয়োগ ধীরগতি হয়ে পড়েছিল। এর সাথে গ্রামীণফোনের জটিলতা। সবমিলেই পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী বলে তিনি মনে করছেন।
নয়া দিগন্ত : দীর্ঘ দিন পতনের ধারাবাহিকতার পর হঠাৎ করে পুঁজিবাজারে উত্থান হতে শুরু করেছে। সূচক ও লেনদেন দুটোই বাড়ছে। এর কারণ কী?
ছায়েদুর রহমান : সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি যুগিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তহবিল বাড়ানোর ইতিবাচক উদ্যোগ বাজারে নতুন করে বিনিয়োগে ভরসা যুগিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। সবমিলেই বাজারে লেনদেন ও সূচক দুটোই বেড়েছে।
নয়া দিগন্ত : অতীতে দেখা গেছে, কিছুদিন পুঁজিবাজারের উত্থানের পর আবার পতন হচ্ছে। বর্তমান উত্থানের ধারাবাহিকতা থাকবে কি না।
ছায়েদুর রহমান : সরকারের নীতিনির্ধারণী পক্ষকে পুঁজিবাজারের তহবিল বাড়ানোর জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।
নয়া দিগন্ত : মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল জোগানের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সরকার বা নীতিনির্ধারণী মহলের পক্ষ থেকে এ তহবিল জোগানোর কোনো আশ্বাস পেয়েছেন কি না?
ছায়েদুর রহমান : পুঁজিবাজারের গতিশীলতা ফিরানোর জন্য অর্থের জোগান খুবই জরুরি। এজন্য তাদের প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে বিবেচনায় নিয়েছে। আশা করি দ্রুতই এ বিষয়ে ইতিবাচক ফলাফল দেখতে পাব।
নয়া দিগন্ত : ইতোমধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের মূলধন হারিয়ে পথে বসেছেন। তাদের কী হবে?
ছায়েদুর রহমান : সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সবসময় পরামর্শ দেয়া হয় বুঝেশুনে বিনিয়োগ করতে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সবসময় এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু এবার সতর্ক থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের তহবিলের জোগান কমে যাওয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আশা করি বাজার গতিশীলতায় গেলে বিনিয়োগকারীরা নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন।
নয়া দিগন্ত : পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদি গতিশীল রাখার উপায় কী?
ছায়েদুর রহমান : প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধিই বাজারকে টেকসই করতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি না পেলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব নয়। এর আগেও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য তহবিল গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু এর খুব বেশি প্রভাব পড়েনি বাজার গতিশীল রাখতে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর তা হলে পুঁজিবাজারের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হবে।
নয়া দিগন্ত : সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ছায়েদুর রহমান : আপনাকেও ধন্যবাদ।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল