সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ ও অবসর ৬৫ করার দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৭
সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ বছর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনটির সভাপতি ড. মো: আনোয়ার উল্লাহ এবং মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স ইতোপূর্বে যথাক্রমে ৩০ ও ৫৯ (মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের যথাক্রমে ৩২ ও ৬০) বছর করা হয়েছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান দাঁড়িয়েছে ৭২.৩ বছর। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছর। বিগত এবং বর্তমান সময়ে যেসব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের অনেকের বয়স ৬৭ বছরের ঊর্ধ্বে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানদণ্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বিশ্বের ১৬২টি দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর, কোনো কোনো দেশে আবার এটি উন্মুক্ত। এই সাথে অবসরের বয়সসীমা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ভেদে ৬৫ থেকে ৬৭ বছর এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭২ বছর। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ এবং অবসরে যাওয়ার বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে চাকরি প্রত্যাশী এবং চাকরিরতদের পক্ষে আন্দোলন ও দাবি উত্থাপিত হয়েছে।
বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের জাঁতাকলে পড়ে বিভিন্নভাবে নিপীড়িত, বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হয়ে সৎ, যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তারা সময়মতো পদোন্নতি ও উপযুক্ত পদে পদায়ন না হওয়ায় সরকারি কাজে তারা তাদের প্রকৃত মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হননি। উপর্যুক্ত বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে মেধাভিত্তিক নতুন প্রজন্মের চাহিদাভিত্তিক কাক্সিক্ষত সংস্কারমুখী পুনর্গঠিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ বছর করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বর্তমান সরকারের প্রতি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা