ফাঁস হওয়া প্রশ্নের চাকরি বাতিল আইনি প্রক্রিয়া

দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কিত বিষয় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষায় পাওয়া চাকরি বাতিল হবে কি না? গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, বিষয়টি এখনি চূড়ান্ত করে কিছু বলা যাবে না। তবে এটি একটি আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। এ ছাড়া তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, পিএসসি থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই। কেননা একটি পরীক্ষার আগে প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। সেখানে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগই থাকে না।
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, প্রশ্ন তৈরি থেকে শুরু করে প্রশ্ন ছাপানো ও বিতরণ পর্যন্ত অনেকগুলো ধাপ ও গোপনীয়তাও অতিক্রম করতে হয় আমাদের। তিনি জোর দিয়ে বলেন, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া লটারির আগে কোন নাম্বার উঠবে কারো পক্ষে জানা সম্ভব না। কেননা প্রশ্নের একাধিক সেট থাকে। কাজেই কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা পরীক্ষার শুরুর আগে কেউই জানে না। জানার সুযোগও নেই। পিএসসির চেয়ারম্যান প্রশ্নের বিভিন্ন সেট নির্ধারণের জন্য লটারির যন্ত্রাংশ দেখিয়ে বলেন, এটাতে (বাক্সে) কাগজ থাকে। এক মানে পদ্মা, দুই মানে যমুনা। পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, এই লটারি যখন হয় তখন অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন আমরা কর্মকর্তা থাকি। নন ক্যাডারের ক্ষেত্রে বাইরের কেউ থাকেন না।
সাম্প্রতিক ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, পরীক্ষার আগে আমি গল্প করছিলাম যে আরো পরে লটারি করি। কিন্তু আমাদের টেস্ট করার জন্য একটু আগে করতে লটারি করতে হয়। মূলত সকাল সাড়ে ৯টায় করতে হয়। কিন্তু আমার সহকর্মীরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এখনি লটারি করতে হবে কারণ তখন ৯টা ২৫ বেজে গেছে। ৯ টা ২৫-এ আমি ওই দিন লটারি করেছি।
অপরদিকে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সত্যতা যদি পাওয়া যায়, তাহলে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি বাতিল করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেছেন, এটি খুব কঠিন প্রশ্ন। এর জবাব এখন কেউ দিতে পারবে না। আইনজ্ঞদের সাথে কথা না বলে, বিধিমালা না দেখে, সামগ্রিকভাবে বিবেচনা না করে এটি নিয়ে সম্ভব না কিছু বলা।