কমার্স কলেজের ছাত্র হত্যাকাণ্ডে সহপাঠী গ্রেফতার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:৪১
রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিতকে (১৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চৌধুরী রাজিন ইকবাল (১৮) নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার রাতে হবিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সহপাঠী রাজিন ও তার বাবা ইকবাল হোসাইনকে আসামি করে মিরপুর শাহ আলী থানায় মামলা করেন নিহত রাফিতের বাবা আবুল বাশার মিয়া।
এদিকে জুবায়ের হাসান রাফিতকে খুনের মামলায় তার বন্ধু রাজিন ইকবাল চৌধুরী আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
৬ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের রাফিতকে কলেজের পাশে একটি কোয়ার্টারের বাসায় ডেকে নিয়ে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাসার সামনে ফেলে রাখা হয়। এই ঘটনা জানাজানি হলে আত্মগোপনে চলে যায় অভিযুক্ত রাজিন। গত রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জুবায়ের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় নিহত জুবায়েরকে তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাফন করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থী জুবায়েরের মামা মো: নুরুজ্জামান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী জুবায়ের কলেজের ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিল। গত এক মাস আগে ক্লাসে এক শিক্ষার্থীর সাথে তাদেরই সহপাঠী রাজিনের মারামারি হয়। এতে রাজিনের বিরোধিতা করে জোবায়ের। ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিন ক্লাসের মধ্যে জুবায়েরের উপর হামলা করে। তখন জুবায়ের কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে বিষয়টি জানালে শিক্ষকরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
তিনি আরো বলেন, তখন কলেজের প্রিন্সিপাল রাজিনের বাবা-মাকে ডেকে রাজিনকে সতর্ক করে দেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই ক্ষোভ থেকেই রাজিন ও তার বাবা দুজন মিলে কৌশলে জুবায়েরকে তাদের বাসায় নিয়ে হত্যা করেছে।
জুবায়েরের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। তার বাবা আবুল বাশার ভূমি অফিসে চাকরি করেন। মা আয়েশা সিদ্দিকা রুমী গৃহিণী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জুবায়ের ছিল সবার বড়। তিনি ঢাকায় মিরপুর ১ নম্বর রাইনখোলা এ-ব্লকে মামা নুরুজ্জামানের বাসায় থেকে ঢাকা কমার্স কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করতেন।
এদিকে জুবায়ের হাসান রাফিতকে খুনের মামলায় তার বন্ধু রাজিন ইকবাল চৌধুরী আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম রাজিনকে আদালতে হাজির করেন। এরপর রাজিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা