১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

খুলনা ও বরিশাল বিভাগে তাপপ্রবাহ অব্যাহত : লঘুচাপ ২২ মে

-


দেশের অধিকাংশ স্থানে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হলেও খুলনা ও বরিশালসহ আরো ৪ জেলায় তা অব্যাহত আছে। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এসব স্থানে। সেই সাথে অব্যাহত আছে বৃষ্টি ও শিলাপাত। এদিকে বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর গতকাল বলেছে, আগামী ২২ মে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এটি সৃষ্টি হতে পারে। এই লঘুচাপটি শক্তিশালী হয়ে শেষ পর্যন্ত একটি ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। নিকট অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ২০০৯ সালের ২৫ মে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলা আঘাত হেনেছিল। এ ছাড়া ১৯৯১ সালের ২৯ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে চট্টগ্রামে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়টিতে এক লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।
এর আগে ২০১৬ সালের ২১ মে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ান’ আঘাত হানে। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ৩০ মে কক্সবাজার উপকূলে ‘মোরা’ নামক ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এসব বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সামনের সপ্তাহের লঘুচাপটি থেকে ঘূর্ণিঝড় হলে এবং সেটা উপকূলে আঘাত হানলে আগের ঘূর্ণিঝড়গুলোর মতোই শক্তিশালী হতে পারে। সে কারণে এখন থেকে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক হওয়া উচিত যেন ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়।

গতকাল শনিবার আবহাওয়া অধিদফতর ‘আজ তাপপ্রবাহ প্রশমিত’ হতে পারে পূর্বাভাসে বললেও উচ্চ তাপ রয়েই গেছে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৬ জেলাসহ আজ সোমবার মোট ২০ জেলায় থাকছে তাপপ্রবাহ।
খুলনা ও বরিশাল বিভাগে তাপপ্রবাহ থাকলেও এই বিভাগে গতকাল সামান্য কিছু বৃষ্টিও হয়ে গেছে। এই বৃষ্টিও কমাতে পারেনি উচ্চ তাপ। এর বাইরে রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী জেলায় গতকালই মৃদু তাপপ্রবাহ ছিল এবং পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজও থাকবে মৃদু তাপপ্রবাহ এই চার জেলায়।
আজ সোমবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে মংলায় ৩৮.৩ ও তেঁতুলিয়ায় ২১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়ায় গতকাল দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে গতকাল সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৫.৪ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 


আরো সংবাদ



premium cement