১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিচ্ছিন্নভাবে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত

-


বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাসহ বৃষ্টি অব্যাহত আছে। তবে বৃষ্টির ধরনে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তাপপ্রবাহের সময় যে বিভাগগুলোতে বেশি গরম পড়েছিল গতকাল সেখানেই সামান্য কিছু বৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে যে বিভাগগুলোতে এপ্রিলের চরমতম গরমেও যথেষ্ট ঠাণ্ডা ছিল সে বিভাগে গতকাল কোনো বৃষ্টিই হয়নি। বৃষ্টির এই ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দেশের অন্যতম শীতলতম স্থান পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এই ঠাণ্ডার জায়গায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, এটাই গতকালকের দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এক ফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি। তবে খুলনা বিভাগে মংলায় পাঁচ মিলিমিটার, সাতক্ষীরা ও যশোরে এক মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত হয়েছে। চার পাশের গরমকে শীতল করে দেয়ার জন্য এক মিলিমিটার বৃষ্টিই যথেষ্ট। ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুরে ১৪ মিলিমিটার। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে হয়েছে মাত্র এক মিলিমিটার। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে কোনো বৃষ্টিই হয়নি।

তবে বৃষ্টি না হলেও গতকাল দেশের সর্বত্রই ছিল ঠাণ্ডা হাওয়া। যে তাপমাত্রা ছিল তাতে খোলা আকাশের নিচে অনেকক্ষণ থাকলেও বেশ গরম অনুভূত হয়েছে। কিন্তু গাছের ছায়ায় অথবা মাথার উপরে ছাউনি রয়েছে এমন স্থানে তাপটা সহ্য করার মতোই ছিল। আর বাসায় অথবা বাড়িতে মানুষ বেশ আরাম বোধ করেছেন বলে নগর ও গ্রামবাসীদের অনেকেই জানিয়েছেন। যেমন ঢাকার বনশ্রীর বাসিন্দা মিসেস শাহানা বলেন, তিনি গতকাল বেশ আরাম বোধ করেছেন। খুব বেশি ফ্যান চালাতে হয়নি। তার ছেলেমেয়েরা ফ্রিজারের ঠাণ্ডা পানিও পান করেনি।
নরসিংদীর শিবপুরের বাসিন্দা রিয়াদুল হক বলেন, দিনটা ভালোই কেটেছে, তাদের টিনের চালার ঘরের ভেতরেও খুব বেশি গরম লাগেনি। কারণ বেশ বাতাস ছিল।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশব্যাপী আজ সারা দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল যশোরে ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল রাজারহাটে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৪.২ ও ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরো সংবাদ



premium cement