সীমান্ত হত্যা ও পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে নাগরিক পরিষদের মানববন্ধন
- ০৭ মে ২০২৪, ০০:১৪
বিনা উস্কানিতে ভারতীয় বিএসফের বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা এবং উজানে পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ফিলিস্তিন সলিডারিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুল মালেক ফরায়েজী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহতাজ আহসান, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, গণফোরামের তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, গণঅধিকার পরিষদ নেতা তারেক রহমান, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সুজন প্রমুখ।
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ডামি স্বৈরাচারী সরকারের পতন না হলে কোনোদিন সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না এবং পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় সম্ভব হবে না।
ড. আব্দুল মালেক ফরায়েজী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য। শেখ হাসিনা ও ভারত মিলে আমার গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণ করেছে। এ সরকার ইসরাইল ও ভারতের স্বার্থরক্ষার তাঁবেদার সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, বিএসএফ বিনা উসকানিতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করছে। কিন্তু বর্তমান সরকার দেশের নাগরিকদের রক্ষা করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। এমনকি হত্যার প্রতিবাদ করার নৈতিক সাহসটুকুও দেখাচ্ছে না। আজ জনমনে প্রশ্ন জাগছে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা ওরা আসলেই কারা? আমার জনগণের অর্থে পরিচালিত জাতীয় সংসদ, গণভবন, বঙ্গভবনে কারা থাকে? নাগরিকের জীবন হারানোর পরও চুপচাপ থাকলে ওদের পোষার প্রয়োজন কি? তিনি আরো বলেন, উজানে পানি সরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করার চক্রান্ত রোধ করতে বিশ্ব দরবারে সালিশ-নালিশ-বিচারের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হলে বৈরী বর্বরদের কখনো থামানো যাবে না। তীব্র তাপদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবনের জন্য পানি আগ্রাসন দায়ী হলেও দিল্লির অনুপুষ্ট পরিবেশবাদী ও বুদ্ধিজীবীরা শিবের গীত গাইছে। ভারতীয় পানি আগ্রাসনের কথা মুখে আনছে না। ভারত বয়কট আন্দোলনে জনগণের অভূতপূর্ব সাড়া এ দেশে দিল্লির দালালদের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছে। ওদের পায়ের নিচের মাটি নেই বলে ওরা আতঙ্কিত। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আর সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন স্বাধীনতা হারানোর পূর্বলক্ষণ। তাই জনগনকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সজাগ থাকার আহবান জানাচ্ছি। বিজ্ঞপ্তি।