ইসরাইলকে সমর্থন দিলেও ইরানের সাথে সঙ্ঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৯
মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সাথে গত সোমবার ফোনালাপে সঙ্ঘাত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এ সময় ইসরাইলে ইরানের হামলার প্রেক্ষাপটে তেল আবিবের প্রতি তার দেশের সমর্থন ব্যক্ত করেন তিনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রয়টার্স।
গত শনিবার ইসরাইলে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ইসরাইলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ওই দিন ইসরাইলকে লক্ষ্য করে কয়েক শ’ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। পেন্টাগন বলেছে, ইসরাইলে ওই হামলা চালানোর আগে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান কিছু জানায়নি এবং ওয়াশিংটন তেহরানের সাথে সঙ্ঘাত চায় না।
ইরানের হামলার পর এর জবাব কেমন হবে, সে বিষয় বিবেচনা করছে ইসরাইল। এ অবস্থায় সংযম দেখাতে ও আঞ্চলিক সঙ্ঘাত বেড়ে যাওয়া এড়াতে ইসরাইলের ওপর মিত্রদের চাপ বাড়ছে। তবে ইসরাইলি সেনাপ্রধান বলেছেন, তার দেশ ইরানি হামলার জবাব দেবে। পেন্টাগন জানায়, লয়েড অস্টিন সোমবার বাহরাইনের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স সালমান বিন হামাদ আল-খলিফা, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস ও কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন মোহাম্মদ আল আতিয়াহর সাথে পৃথক ফোনালাপ করেন।
আলাপে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইলে ইরানের হামলার নিন্দা জানান এবং বলেন, ওয়াশিংটন সঙ্ঘাত বাড়ুক, তা চায় না। ফোনালাপে অস্টিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সঙ্ঘাত-উত্তেজনার বৃদ্ধি না চাইলেও আমরা ইসরাইল ও মার্কিন কর্মীদের রক্ষা করে যাবো। পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্টের সাথে আলাপে দেশটিকে রক্ষায় নিজ দেশের সমর্থন ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেই সাথে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের বিষয়ে পুনরায় নিশ্চিত করেন তিনি।
এর আগে পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে কি না, সেটি তাদের বিষয়। ইসরাইল ও ইরানের মধ্যকার এ উত্তেজনা গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতা মধ্যপ্রাচ্যে আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাকে ইসরাইল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যেও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।