২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভোটের অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছি

শ্লোগানে মুখরিত সমাবেশ এলাকা
-

দীর্ঘ ২০ বছরেও জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি ডেমরার তোফায়েল হোসেন। যদিও তিনি ভোটার হয়েছেন ২০০৩ সালে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো নির্বাচনেই ভোট দিতে পারেননি। তাই এবার তিনি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেমেছেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ চলাকালে বাইরের রাস্তায় প্লেকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে নিজের এমন অভিব্যক্তির কথাই বলছিলেন গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে। তোফায়েল এখন তার পরিবার নিয়ে থাকেন আরমানিটোলায়। চাকরি করেন একটি প্রাইভেট ফার্মে।
তোফায়েল জানালেন, ২০০৩ সালে ভোটার হয়েছেন তিনি। অনেক আগে থেকেই মনে প্রচণ্ড আবেগ ছিল জাতীয় নির্বাচনে আমার ভোটটা আমি দেব। কিন্তু ২০০৮ ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি ভোট দিতে পারিনি। এবার তাই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে রাজপথে নেমেছি। এ ছাড়া এ কথা সবাই জানি, নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া এ দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।

কথা প্রসঙ্গে তোফায়েল জানালেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত নন। তবে ন্যায্য এবং যৌক্তিক দাবির সাথে সবসময় একাত্মতা প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল শনিবার এবং ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে নিজের একান্ত কৌতূহলের কারণেই রমনার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে এসেছেন তিনি। গতকাল দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মিলনায়তনের ভেতরে যখন জামাতের সমাবেশ চলছিল তখন তিনি নিজেই জামায়াতের একটি প্লেকার্ড হাতে নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়েছিলেন। এদিকে দুপুর থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও শুরু হয়। এই বৃষ্টির মধ্যেও বাইরের রাজপথে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তোফায়েল।
তোফায়েল আরো জানান, ২০০৮ সালে একতরফার সাজানো নির্বাচন, ২০১৪ সালের ভোট ও ভোটার ছাড়া নির্বাচন আর সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট আগের রাতেই হয়ে গেছে। ফলে ভোটার হয়েও আমরা অনেকেই এই তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। আমি মনে করি ভোট ছাড়া দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে বর্তমান সরকারের এ দেশের জনগণের প্রতি কোনো দায়দায়িত্ব নেই। তাই ধরাকে সরাজ্ঞান করে ১৫ বছর ধরেই জুলুম আর নিষ্পেষণ চালাচ্ছে জনগণের ওপর এবং বিরোধী মতে রাজনীতিবিদদের উপরেও। এর অবসান চাই। আমরা চাই ভোটারগণ তাদের মূল্যবান ভোট প্রয়োগ করে জনগণের মনোনীত সরকারকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। আর এজন্য তত্ত্বাবধায়ক নিরপেক্ষ সরকারের আন্দোলনে এদেশের সব মানুষ অংশ নেবে। সরকার যদি তাদের মামলা মোকদ্দমা, পুলিশী হয়রানি, জেল, জুলুম আর নির্যাতন বন্ধ করে তাহলে এই আন্দোলনে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ সক্রিয়ভাবে রাজপথে নেমে আসবে।


আরো সংবাদ



premium cement