২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকায় ইমাম খোমেনি স্মরণে আলোচনা সভা

-

ইরানের ইসলামী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনির ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘ইমাম খোমেনি এবং নয়া ইসলামী সভ্যতা বিনির্মাণে ক্ষেত্রে প্রস্তুতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়্যেদ রেযা মীরমোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সদস্য সচিব ও কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান এবং আল-মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম শাহাবুদ্দিন মাশায়েখি রাদ। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ নাজির মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ইসলামের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হলো এর ‘সর্বমানবিকতা’। মানবতা দুই ধরনের। একটি আধ্যাত্মিক, অন্যটি সেকুলার। ইমাম খোমেনি ছিলেন আধ্যাত্মিক মানবিকতার শ্রেষ্ঠ রূপকার। তিনি প্রকৃত অর্থেই একটি নতুন ‘ইসলামিক সভ্যতা’র গোড়াপত্তন করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হুজ্জাতুল ইসলাম শাহাবুদ্দিন মাশায়েখি রাদ বলেন, বিশ্বজুড়ে ইমাম খোমেনির সবচেয়ে বড় পরিচিতি ইসলামি বিপ্লবের নেতা হিসেবে। বিশ্বের অন্যান্য বিপ্লবের সাথে এই বিপ্লবের মিল হলো অন্যান্য বিপ্লবের মতোই এটি একটি জাতিকে জালিম শাসকের হাত থেকে মুক্তি দান করেছে। কিন্তু যেখানে ইরানের ইসলামী বিপ্লব অন্যান্য বিপ্লবের চেয়ে আলাদা ও অনন্য সেটি হলো এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলামের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা।


আরো সংবাদ



premium cement