১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক আহসান উল্লাহ

-


চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন, দৈনিক জনতা সম্পাদক আহসান উল্লাহ। এর আগে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানান সতীর্থরা। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নামাজে জানাজা শেষে বাদ জোহর রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক আহসান উল্লাহ ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী বছর দুয়েক আগে মারা যান।


গতকাল সকালে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বেলতলা মসজিদে আহসান উল্লাহর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার কর্মস্থল ফকিরাপুলে দৈনিক জনতা কার্যালয়ের সামনে বেলা সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দৈনিক জনতার প্রকাশক সৈয়দ মো: আতিকুল হাসান ও সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আহসান উল্লাহর সাবেক সহকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য মানুষ অংশ নেন।
সর্বশেষ দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে মরহুমের তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, আরেক অংশের সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো: শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়া সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
নামাজে জানাজা শেষে মরহুম আহসান উল্লাহকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম, দৈনিক জনতা পরিবার ও খুলনা বিভাগ সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ জোহর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।


আহসান উল্লাহ দীর্ঘ সময় ধরে দৈনিক জনতায় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের ভাগ্নে আহসান উল্লাহ ১৯৬২ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে যোগ দেন দৈনিক বাংলার বাণীতে। এরপর ১৯৭৫ সালে ভারত বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক হন। সম্পাদক থাকার সময়ই ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৮০-৮১ সালে তিনি ওই বিভাগ থেকে এম এ পাস করেন।
এরপর ১৯৮৫ সালে দৈনিক জনতায় সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে দৈনিক জনতা বন্ধ হয়ে গেলে, তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) কাজ শুরু করেন। এরপর ২০০৪ সালে আবার দৈনিক জনতায় ফিরে আসেন বার্তা সম্পাদক হিসেবে। কিছু দিন পর তিনি সম্পাদক হন।

 


আরো সংবাদ



premium cement