২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
রাজস্ব বোর্ডের সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী

ভ্যাট ও আয়কর আদায়ে সিস্টেম লস কমাতে হবে

-

আগামী ২০২৬ সালে কাস্টমস ডিউটির ওপর চাপ পড়বে। সমস্যা আসতে শুরু করবে। তখন টাকাটা তেমন আসবে না। আপনাদের (রাজস্ব কর্মকর্তা) ভ্যাটের পরিধি ও ইনকাম ট্যাক্সে নজর দিতে হবে। এর নেটটা বিস্তৃত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৮৫ ভাগ রাজস্ব আদায় করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, তাই রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বও বেশি। ভ্যাট ও আয়কর আদায়ের ক্ষেত্রে সিস্টেম লস কমাতে হবে, এ ক্ষেত্রে স্মার্ট কর প্রশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের প্রথম দিন গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কমিশান (ভ্যাট অনুবিভাগ) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান এবং কাস্টম এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদী। প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (অব:) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।
রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু ব্যাপারে আমরা সমন্বয়ের কথা বলি। এটা ভালোর জন্যই। আপনাদের আমাদের মিলিত চেষ্টায় সেটি করতে চাই। তিনি বলেন, এখন আয়কর নিতে গেলেই মানুষের অপছন্দের কারণ হয়ে উঠবেন আপনারা। ট্যাক্স দিতে চায় না কেউ, সেখানেও আপনাদের পজিটিভ ভূমিকা নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, অনেকে কিছুই দেখেন না। এই যে বাংলাদেশ এগিয়েছে। এতকিছু হচ্ছে চার দিকে দৃশ্যমান, যা আমরা দেখি সেটি তো সত্য। সেই জিনিসটা অনেকে স্বীকার করতে চায় না। দৃশ্যমান যে উন্নতি হয়েছে সেটি যদি না হতো, তাহলে ২০২৬ সালে আমরা গ্র্যাজুয়েশনের সুযোগটা পেতাম? সত্যটা হলো আমাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে; কিন্তু দেখেও যারা না দেখতে চান, তাদের তো কিছু দেখানো সম্ভব নয়।
টিপু মুনশি বলেন, সারা দেশেই আপনাদের নতুন অফিস করা দরকার। আপনারা তো অনেক টাকা বাঁচিয়েছেন। ৪৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল সেখান থেকে ৪১২ কোটি টাকায় ভবন নির্মাণ করেছেন। প্রায় ৩০-৪০ কোটি টাকা বাঁচিয়েছেন। সাধারণত এটা দেখা যায় না। দেখা যায়, শেষের দিকে এসে খালি কাগজ আসে টাকা বাড়ানোর জন্য। এটা অনেক সুন্দর একটা দিক।
তিনি বলেন, আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ দরকার। ডিজিটাল শেষ করে স্মার্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আপনাদের কাজগুলো স্মার্ট হতে হবে। সে জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কথা শুনলাম, বিভিন্ন রকমের অটোমেশনের কথা আসছে। আমি খুব আশাবাদী, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনাদের কাজ আমাদের এগিয়ে নেবে।
রাজস্ব প্রদানে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও রাজস্ববান্ধব মানসিকতা বিকাশের উদ্দেশ্যে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলন আয়োজন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সাথে ৫ ফেব্রুয়ারি আগারগাঁওয়ে এনবিআরের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজস্ব সম্মেলন ও নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।


আরো সংবাদ



premium cement