২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

হট্টগোল, উত্তেজনা পুলিশি পাহারায় মতবিনিময় বায়রার

-

হট্টগোলের পর পুলিশ পাহারায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ বায়রার মতবিনিময় সভা।
আগামীকাল শনিবার মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরের দু’দিন আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
সংগঠনের প্রধান মো: আবুল বাশারের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক বায়রা সভাপতি বেনজির আহমেদ। বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান এবং বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন ছাড়াও বায়রার সাধারণ সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সবাইকে ব্যবসা করার পক্ষে বক্তব্য দেন।
বায়রা মহাসচিব নোমান বলেন, আজকের মতবিনিময় সভায় আমাদের যে ভুলত্রুটি ও সহনশীলতার অভাব ছিল আগামীতে সেক্ষেত্রে আরো সহনশীল হবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, চলার পথে ভুল থাকতে পারে। এর জন্য আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সভায় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য আমাদের প্রেসিডেন্ট মহোদয় ক্ষমা চেয়েছেন। তবুও আমি মহাসচিব হিসাবে বলব আপনাদের (সাংবাদিকদের) যে অবদান তা আমরা সবসময় স্বীকার করি। আপনাদের ছাড়া বায়রার অস্তিত্ব নেই। সুতরাং আপনাদের কাছে আবারো করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি প্রথমেই মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ মহোদয়কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই, আমরা এমন একজন লিডার এবং এমন একজন সচিব পেয়েছি যা আমার ৪০ বছরের এই ট্রেডে পাইনি। একটি উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, আমাদের লাইসেন্সগুলোর প্রোপাইটরশিপ পরিবর্তন করা সম্ভব ছিল না। মন্ত্রী এবং সচিব মহোদয়ের অন্তরিকতার কারণে আপনারা প্রোপাইটরশিপ পরিবর্তন করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার কিভাবে সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত রাখা যায় সে ব্যাপারে আমাদের প্রেসিডেন্টসহ পুরো কমিটি অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমরা কমিটেড আপনাদের কাছে, ইনশাআল্লাহ এটি আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে বাস্তবায়ন করব।
বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন বলেন, আজকের মতবিনিময় সভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আমি সভাপতিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। উনি মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরে একজন ব্যক্তি যে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন সেটাকে সমর্থন করেন নাই। আমি এ ধরনের ঘটনার জন্য নিন্দা প্রস্তাব করছি। কারণ আমাদের একমাত্র অভিভাবক এই মন্ত্রণালয়। সুতরাং এই মন্ত্রণালয়কে আন্ডারমাইন করে কোনো কাজ করতে পারব না। দ্বিতীয় হলো আজকের বিষয়বস্তু হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সব সদস্যের জন্য কিভাবে উন্মুক্ত করা যায় তার সাথে আমি একমত। কিন্তু যে জিনিসটি সবচেয়ে প্রাধান্য পাওয়া উচিত ছিল কি করে সেটি সম্ভব। আজকে ব্যবসাটি চালু হয়েছে। ৭০ হাজার শ্রমিক চলে গেছে। আরো ৫০ হাজার লোক যাওয়ার জন্য পাইপলাইনে আছে। বিমান টিকিট সমস্যা না হলে এক লাখ লোক চলে যেতে পারত। আমাদের এখন দুটি জিনিস দরকার। একটি হলো বায়রা নেতাদের ঐকমত্যে পৌঁছা। সবাইকে এককাতারে এনে একটি পথ বের করা। আর যদি মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের সম্পর্কটা ভালো হয় তাদের যদি মর্যাদা দেই, তাহলে আমাদের শ্রমবাজার সবার জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব।
বায়রার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কম খরচে, দ্রুত কর্মী প্রেরণের নিমিত্তে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বায়রার সব সদস্যের জন্য উন্মুক্তের দাবিতে এ মতবিনিময় সভা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বায়রার ক্ষুব্ধ সাধারণ সদস্যরা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তাদের কেউ কেউ বায়রা সভাপতি আবুল বাশার ও মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনাদের এই কমিটিতে যে ২৭ জন রয়েছেন তারা সবাই মালয়েশিয়ার ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সীর সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এমন বক্তব্যের পর হলরুমে হইচই শুরু হয়ে যায়। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। তুমুল বাগি¦তণ্ডা রমনা মডেল থানার ইন্সপেক্টরের (অপারেশন) হস্তক্ষেপে শান্ত হয়। উত্তেজনার একপর্যায়ে প্রধান অতিথি বেনজির আহমেদ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে চলে যাওয়ার পর বায়রার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: ফখরুল ইসলাম সিন্ডিকেটের ১০০ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র একজনের নাম প্রকাশ করলে হলরুমে আবারো উত্তেজনা শুরু হয়। পরিস্থিতি শান্ত হলে ফখরুল ইসলাম আবারো বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, আমি তো একজনের নাম বলেছি। পর্যায়ক্রমে সবার নামই বলতে চেয়েছিলাম। এ সময় তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের সাথে আমাদের বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানসহ অন্যদের নামও আছে। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সহযোগী হিসেবে এই সংগঠনের ১৮০০ সদস্য নানা প্রতিকূলতার বাঁধ ভেঙ্গে নিরলসভাবে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। বায়রা সদস্যদের প্রচেষ্টায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান আজ বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। বায়রা সদস্যদের মাধ্যমে যাওয়া অভিবাসী ভাই ও বোনেরা বছরে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণ করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’

সকল