২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

টেকনাফ বন্দরে ধর্মঘট, মালামাল খালাস বন্ধ

-

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দর থেকে মালামালবাহী একটি কার্গো বোট উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কার্গো বোট থেকে শতাধিক বস্তা সুপারি ও অন্যান্য আমদানি পণ্য চুরি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বন্দরে কর্মরত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর ফলে সপ্তাহের প্রথম দিন গতকাল রোববার মিয়ানমারে আসা টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো পণ্যবাহী ট্রলারের মালামাল খালাস হয়নি।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার বিকেল পর্যন্ত বন্দরে মিয়ানমার থেকে ৩৫টি মালামাল বোঝাই কার্গো বোট খালাসের অপেক্ষায় ছিল। এসব জাহাজ ও কার্গো বোটে কোটি কোটি টাকার পচনশীল পণ্য রয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমার থেকে ৭০০ বস্তা সুপারি ও অন্যান্য মালামাল নিয়ের একটি কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরে আসে। সাদ্দাম হোসেন, ফারুক ও শওকত নামের তিন ব্যবসায়ী এই মালামাল আনেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালামালসহ কার্গো বোটটি বন্দরে এন্ট্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, ওই দিন রাতেই মালামালসহ বন্দরের ঘাট থেকে কার্গো বোটটি উধাও হয়ে যায়। পরের দিন নাফ নদী থেকে ৫৭৪ বস্তা সুপারি ও ৮০ বস্তা কপিসহ একটি কার্গো বোট পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিজিবি। টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সদস্যরা পরে মামলা দিয়ে পণ্যসহ কার্গো বোটটি টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা দেয়।
এ ঘটনাকে অন্যায় দাবি করে বন্দরের ব্যবসায়ী ও আমদানি প্রতিষ্ঠানসহ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন রোববার সকাল থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে বন্দর থেকে কোনো মালামাল খালাস হয়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল বিকেলে স্থলবন্দরে উপজেলা প্রশাসন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে একটি বৈঠকে বসে।
টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, সকাল থেকে কোনো পণ্য উঠানামা হয়নি। এ নিয়ে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছে। বন্দরের জেটি ঘাট থেকে মালামালসহ কার্গো বোট উধাও হওয়ার ঘটনা সত্যিই উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় মিয়ানমারের আকিয়াবের ব্যবসায়ীরা পণ্য রফতানিতে শঙ্কা প্রকাশ করছে। তিনি অভিযোগ করেন, কার্গো বোট উধাও হয়ে গেলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ পণ্য উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
পণ্য আমদানিকারক সাদ্দাম হোসেন বলেন, কার্গো বোট উধাওয়ে টেকনাফ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল। এতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বিকেলে বন্দর ভবনে বৈঠক শেষে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বোট উধাওয়ের ঘটনাটি অনাকাক্সিক্ষত। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা চলছে। শিগগিরই বন্দরের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আনসার মো: কাওসার বলেন, কার্গো বোট উধাওয়ের ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement