অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে মনিপুর স্কুল ধ্বংসের মুখে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
রাজধানীর নামী প্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের বর্তমান অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেনের অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তারা অভিযোগ করেছেন, এই অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটিকে লুটেপুটে খাচ্ছেন। তাকে দ্রুত না সরালে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে স্কুলটি ধ্বংস হয়ে যাবে।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় অভিভাবক ফোরামের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
অভিভাবকরা জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এর বার্ষিক আয়ও শতকোটি টাকার বেশি। কিন্তু আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব নেই। আয়ের বেশির ভাগ টাকাই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যাচ্ছেন অধ্যক্ষও তার অনুসারীরা। আইডি কার্ড ফি, স্পোর্টস ফি, পানি-গ্যাস ফি, মিলাদ ফি, বিদ্যুৎ ফি দরিদ্র তহবিলের খাতে টাকা নেয়া হয়। অথচ শিক্ষার্থীরা এর কোনোটিই পায় না। কোনো কোনো শাখাপ্রধান বিদ্যালয়ে বসে কোচিংবাণিজ্য চালাচ্ছেন। অভিভাবকদের সামান্যতম অধিকার বিদ্যালয়টিতে নেই। কোনো অভিযোগ নিয়ে গেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের ভয় দেখান অধ্যক্ষ।
অভিভাবকরা জানান, ফরহাদ হোসেন সাধারণ শিক্ষক থেকে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করছেন। ঢাকা বোর্ড ও শিক্ষা অধিদফতরের তদন্তে তার নিয়োগ অবৈধ হলেও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি অধ্যক্ষ পদে থাকতে পারেন না। কিন্তু আদালত অবমাননা করে তিনি অধ্যক্ষ পদ জোর করে দখল করে আছেন। অভিভাবকরা জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারকে ভুল বুঝিয়ে তার নামে ও তার মেয়ের নামে, আরো কয়েকজনের নামে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজকে ট্রাস্ট করার অপচেষ্টা চালান অধ্যক্ষ। কিন্তু বিদ্যালয়টির এমপিও চালু থাকা, জমির মালিক সরকার, নুর মোহাম্মদ মিয়া ও লায়লা বেগম হওয়াতে তাদের সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়। কিন্তু এ কে এম দেলোয়ার হোসেন এক ব্যক্তি বিদ্যালয়ে কয়েকটি সিলিং ফ্যান দান করে বিদ্যালয়টিকে নিজের নামে ট্রাস্ট করার জন্য হাইকোর্টে রিট করলে বিষয়টি আবার আমাদের গোচরে আসে ।
১৯৮৩ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। শিক্ষকরা সে থেকে আজ অবদি এমপিওর টাকা পেয়ে আসছেন। কিন্তু ফরহাদ হোসেন শিক্ষকদের এমপিও শিটে সই করা বন্ধ করে দেন ২০১৬ সালে। ফলে শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হলেও সরকারি কোনো ভাতা তুলতে পারেন না। শিক্ষকদের কাছ থেকে জোর করে এমপিও প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে। বিয়ষটি সরকারি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
ফরহাদ হোসেন দায়িত্ব বসার পর চার শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যার প্রতিটি নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে। নিয়ম ভেঙে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের পক্ষে সদস্য সচিব লিয়াকত আলী, সদস্য একলিমুর রেজা কোরাইশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা