মিডিয়ার কারণে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি হয়
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
মিডিয়ার কারণে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা যদি মিডিয়াকে দেশ থেকে একেবারেই ব্লাকআউট করে দিতে পারি, তাহলে কিন্তু ডিজাস্টার হয়ে যাবে। রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে। মিডিয়া ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে। মিডিয়া সবাইকে চাপে রাখে।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি-আরএফইডির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও পুরাতন কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সিইসি। এ সময় বক্তব্য রাখেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আহসান হাবিব খান (অব:), বেগম রাশেদা সুলতানা ও নির্বাচন কমিশন সচিব মো: জাহাঙ্গীর আলম।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে খুব একটা বেশি কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। মিডিয়ার কারণে আমরা কিন্তু চাপে থাকি। কি বলতে কি বলে ফেলি। কোনটা বলতে হবে, কোনটি গোপন রাখতে হবে। কারণ মিডিয়া তো সব প্রচার করে দেবে।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বস্তুনিষ্ঠভাবে সংবাদ সংগ্রহ করবেন, পরিবেশন করবেন। আমাদের মধ্যে যদি কোনো বিচ্যুতি ঘটে এবং সেটি যদি আপনাদের দৃষ্টিতে চলে আসে। সেটি কেন প্রচার করবেন না। আমার বিচ্যুতি ঘটবে কেন? সেগুলো আপনারা করবেন। আপনারা সেটি করেন বলেই ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য অনেকটা তৈরি হয়। গত কমিটি যে সংবাদগুলো প্রচার করেছেন তা বস্তুনিষ্ঠভাবেই করেছেন। এটি প্রশংসার দাবি রাখে বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, সামনে সাধারণ নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণে। সেই নির্বাচনটা ঘনিয়ে আসছে। এখানে আপনাদের ভূমিকা যদি বস্তুনিষ্ঠ হয়। তাহলে সবার মধ্যে ইতিবাচক হয়। নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মিডিয়ার কারণে তারাও সচেতন থাকেন। এমনকি যারা শক্তিমান তারাও মিডিয়ার ভূমিকাকে মূল্যায়ন করেন, যদি তারা বিবেকবান হন।
আহসান হাবিব খান বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) যা ইচ্ছা লিখতে পারেন। কারণ আপনারা আপনাদের কাজের জন্য নিজেদের কাছে নিজেরা দায়বদ্ধ। নির্বাচনের ওপর জনগণের নেতিবাচক ধারণা তৈরি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বেগম রাশেদা সুলতানা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা