ডেনমার্কে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকার নিন্দা
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ডানপন্থী গোষ্ঠী কর্তৃক পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যাবোধ ও ধর্মীয় প্রতীক অবমাননার ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে বাংলাদেশ এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত, উসকানিমূলক ও ইসলামভীতি (ইসলামোফোবিয়া) থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
ইতঃপূর্বে নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনে একই ধরনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিল বাংলাদেশ।
গত শুক্রবার কোপেনহেগেনের একটি মসজিদ ও তুরস্ক দূতাবাসের কাছে কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী রাসমুস পালুদান ও তার দলের অনুসারীরা এ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। কোপেনহেগেনে যে মসজিদের সামনে পবিত্র কুরআন পোড়ানো হয়েছে, সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে পালুদান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যতদিন সুইডেনকে অন্তর্ভুক্ত করা না হবে ততদিন এই কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইডেন ও ডেনমার্কের দ্বৈত নাগরিক রাসমুস পালুদান। গত ২১ জানুয়ারি সুইডেনে তুরস্ক দূতাবাসের সামনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনাতেও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পালুদানের সুইডিশ অনুসারীরাই সেদিন এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর নিরাপত্তা বিবেচনায় ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আবেদন করেছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। কিন্তু ন্যাটোর অন্যতম সদস্য তুরস্ক বিশেষ করে সুইডেনের আবেদনে বিরোধিতা করছে। তুরস্কের অভিযোগ, সুইডেন কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টিকে (পিকেকে) আশ্রয় দিচ্ছে। ১৯৮৪ সাল থেকে পিকেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে। তুরস্ক ছাড়াও ইউরোপে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হাঙ্গেরি সরকার ন্যাটো সম্প্রসারণের বিরোধিতা করছে। দেশ দু’টির পার্লামেন্ট এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুস্বাক্ষর করেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা