স্বাস্থ্যবান প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ গড়তে হবে
- ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:১০
বাংলাদেশ নগর কিংবা গ্রাম সর্বত্র খেলাধুলার সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন ক্লাব ও স্বার্থান্বেষী মহলের দখলের কারণে শিশু-কিশোর ও এলাকাবাসীরা খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনায় খেলার মাঠকে বিনোদনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অবকাঠামো বিবেচনা করলেও এলাকাভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরির ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ স্বল্প। সুস্থভাবে বেড়ে ওঠাকে মৌলিক অধিকার বিবেচনা করে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় অর্থায়ন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) কর্তৃক অনলাইনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের নগর ও গ্রামীণ এলাকায় খেলার মাঠের সঙ্কট ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় পরিকল্পনাবিদরা এভাবে খেলার মাঠের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আইপিডি বলছে, পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতি তিন থেকে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য শিশুদের একটি খেলার মাঠ, কিশোরদের জন্য (৭-১২ বছর) প্লে-গ্রাউণ্ড ও বড়দের জন্য (১৩ ঊর্ধ্ব বয়সী) প্লে-ফিল্ড সুবিধা থাকতে হয়। মানদণ্ড অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৭৯৫টি, চট্টগ্রামে ৫৪১টি, রাজশাহীতে ৩৭টি, খুলনায় ৬৬টি, সিলেটে ৩২টি ও বরিশালে ৩৪টি খেলার মাঠের ঘাটটি রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নগর ও গ্রামীণ এলাকায় সবার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক খেলার মাঠ তৈরি করতে না পারলে স্বাস্থ্যগত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত প্রজন্ম তৈরি হবে, জাতিগতভাবে যার মূল্য হবে ভয়াবহ।
এতে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম গোল্লা, পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ খেলার মাঠের গুরুত্ব তুলে ধরেন তাদের বক্তব্যে। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা