২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন

প্রচারণা চালিয়েও সরে দাঁড়ালো জামায়াত

-

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে বিএনপি অনেক আগে ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ালেও প্রচারণার মাঠে থাকা জামায়াতে ইসলামী শেষ মুহূর্তে এসে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির রংপুর মহানগর আমীর। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু জানান, আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোটে আমরা অংশ নিচ্ছি না। এটা তফসিল ঘোষণার আগেই আমরা জানিয়ে দিয়েছি। কারণ আমরা মনে করি, এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
বিএনপির এই অবস্থান থাকলেও তাদের সাথে ও সরকারে থাকা একসময়ের শরীক এবং বর্তমান যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামী রংপুর সিটির নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গত ৭ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার দেড় সপ্তাহ আগে থেকেই মাঠে পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যাপক গণসংযোগ করে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক মহানগর আমির এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলাল। ২২ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম নেন অধ্যাপক বেলাল।


জামায়াত দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে রংপুর সিটি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে মাঠে গণসংযোগ থেকে সরে আসেন অধ্যাপক বেলাল। বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মহানগর জামায়াত আমির এটিএম আজম খান গতকাল জানান, স্বতন্ত্র হিসেবে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক মহানগর আমির মাহবুবার রহমান বেলাল প্রচার প্রচারণা চালিয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত হয়েছে বেলাল সাহেব আর রংপুর সিটি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। যেহেতু এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এ ছাড়াও আমরা এই সরকারের জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে আছি। এই সরকারের পতন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মাধ্যমেই নির্বাচনে অংশ নিবো আমরা।


রংপুর সিটি নির্বাচনে এখন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ থেকে মশাল প্রতীকের শিক্ষাবিদ ও তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনের নেতা শাফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের ঘড়ি প্রতীকের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু এবং জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের খোরশেদ আলম। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র পদে লড়তে প্রচারণায় আছেন ব্যবসায়ী লতিফুর রহমান মিলন, মেহেদী হাসান বনি ও আবু রায়হান, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহানগর সভাপতি আতাউর জামান বাবু।

 


আরো সংবাদ



premium cement