১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দূতাবাস ও এনজেডের উদ্যোগ

দেশে ফিরল মালয়েশিয়ায় কারাবন্দী যুবক

-

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা এবং Flynz world travel and tours-এর আর্থিক অনুদানে তিন বছর ধরে কারাবন্দী মো: হোসেনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ফ্লাই করে সন্ধ্যায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। মো: হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা। তার কাছে কোনো বৈধ পাসপোর্ট না থাকায় বিস্তারিত ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ইমিগ্রেশন পুলিশের মামলা অনুযায়ী মো: হোসেনের অপরাধ, তার কোনো বৈধ পাসপোর্ট ছিল না। পাসপোর্ট ছাড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর দীর্ঘ তিন বছর প্রথমে জেলে এবং পরে ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। হোসেন করোনার আগে আটক হওয়ার পর করোনা মহামারীসহ বিভিন্ন কারণে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হয়েছে বলে জানা গেছে। দূতাবাসের ওয়েলফেয়ার বিষয়ক সহকারী মো: জাহাঙ্গীর আলম এই প্রতিবেদককে হোসেনের বিষয়টি অবহিত করেন। তারপর প্রতিবেদক হোসেনকে একটি ফ্রি টিকিট দেয়ার জন্য ফ্লাইএনজেড ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরসের মার্কেটিং ম্যানেজারকে অনুরোধ করেন। তারপর ইউএস বাংলার একটি ফ্রি টিকিট ডিটেনশন সেন্টারে দূতাবাসের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
হোসেন নিজ খরচে টিকিটের ব্যাবস্থা করতে পারলে আরো আগেই দেশে ফিরতে পারতেন। মালয়েশিয়ার জেলে আটক বন্দীদের দেশটির সরকার কর্তৃক ফ্রি টিকিটের ব্যাবস্থা না থাকায় অনেককেই বছরের পর বছর জেল খাটতে হয় বিনা হিসাবে। যদি কেউ ফ্রি টিকিট দেয় এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে টিকিট কিনতে পারে তাহলে দ্রুত দেশে ফেরা সম্ভব হয়। ডিটেনশন সেন্টার থেকে কোনো বন্দী বাইরের কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না। তা ছাড়া বন্দী অবস্থায় নগদ টাকাও রাখতে পারেন না তারা।
ডিটেনশন ক্যাম্পে যারা আটক থাকে তাদের সাথে একমাত্র দূতাবাস কর্মকর্তা ছাড়া আর অন্য কেউ যোগাযোগ করতে পারে না। বাইরের জগৎ থেকে তাদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। এ জন্য সাজার মেয়াদ শেষ হলেও সময় মতো তারা দেশে ফিরতে পারেন না। দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানানো হচ্ছে যারা ডিটেনশন সেন্টারে আটক হন তাদের জন্য যেন সরকারি খরচে বিমান টিকিটের ব্যাবস্থা করা হয়। তাহলে তাদের ভোগান্তি অনেক কমে যাবে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (লেবার উইং) নাজমুস সাদাত সেলিম বলেন, প্রথম দিকে ডিটেনশন সেন্টারে সহস্রাধিক বাংলাদেশী আটক থাকলেও এখন এই সংখ্যা খুবই কম। আমাদের তৎপরতায় বন্দীদের সংখ্যা ২০০-এর নিচে নেমে এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি ক্যাম্পে আটককৃতদের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশীদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে তারা যেন অবৈধ ও অনৈতিক পন্থায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশ না করে। মালয়েশিয়ায় আসতে হলে অবশ্যই বৈধ পন্থায় আসতে হবে। অন্যথায় দেশটির প্রচলিত আইনের মুখোমুখি হতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement