বালুমহালের নামে নদীগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:১০
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কোনো প্রকার জরিপ ছাড়াই দেশের বিভিন্ন নদ-নদীকে বালুমহাল ঘোষণা করা হচ্ছে। গত ২০ বছরে নদ-নদী ও নদ-নদীসংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১৩০-১৪০ ফুট গর্ত করে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে কৃষিজমি, বাড়িঘড় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল সোমবার এক গোলটেবিল বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা এসব কথা বলেন। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে ‘বালু-পাথর উত্তোলন ও দখল-দূষণে নদ-নদীর বিদ্যমান জীর্ণদশা এবং পরিবেশ সঙ্কট’ শীর্ষক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা এএলআরডি, বেলা ও পানি অধিকার ফোরাম।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ছয় বছরে সিলেটের পাথরমহালগুলো থেকে সরকার রাজস্ব অর্জন করেছে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ। বছরে মাত্র সাড়ে ছয় কোটি টাকার জন্য জাফলং-বিছনাকান্দির নদীগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।
নদীকে অস্বীকার করে দেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়, উল্লেখ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, বালুমহাল আইনের ৫ নম্বর বিধি অনুযায়ী কেউ একক সিদ্ধান্তে বালুমহাল ঘোষণা করতে পারেন না। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি জেলা কমিটি পরিবেশ ও সার্বিক ঝুঁকির বিষয়গুলো তদারক করার কথা। কিন্তু কমিটি নিজেদের দায়িত্ব পালন করে না। উল্টো অভিযোগ দিলে দায়সারা প্রতিবেদন দাখিল করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা