জীবিত সব মুক্তিযোদ্ধার কথা রেকর্ড করা হবে
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে সব মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। কে, কার সাথে, কোথায়, কিভাবে যুদ্ধ করেছেন, জীবিত সব মুক্তিযোদ্ধার কথা রেকর্ড করে রাখা হবে। সবার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য এ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে দেশের সব রাস্তা মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হবে। দ্রুতই এই কাজ শুরু করা হবে। ছয় মাস আগে মুক্তিযোদ্ধাদের ভোটার তালিকা অনলাইনে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের শিডিউল নির্ধারণ করতে পারেন। শিডিউল হয়ে গেলে দ্রুতই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নির্বাচন হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর ও জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে জেলার দু’টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সও উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি নির্মাণে ফাঁকি দেয়া যাবে না। রাষ্ট্রের টাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। এই বাড়ি নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম করা যাবে না। আমরা কাজের সাথে কোনো কম্প্রোমাইজ করতে চাই না। অভিযোগ, অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এখন সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উপজেলা পর্যায়ের ব্যাংকে পাঠানো হয়ে থাকে। কারো যদি কোনো ভুলত্রুটি থাকে, তাহলে নিয়মের মধ্যে এসে সংশোধন করে নেন। ভাতা পেতে কোনো সমস্যা হবে না। যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যে মারা গেছেন, সব মুক্তিযোদ্ধার কবর বাঁধানো হবে। ১০০ বছর পরেও যেন বোঝা যায় কোনটা মুক্তিযোদ্ধার কবর। এ সময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবেন, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাবেন শিশুদের। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস শোনাবেন।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সীমান্তের জনগণ অবশ্যই মিয়ানমারের হামলার কারণে আতঙ্কিত। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ বিষষে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন। আমাদের সরকার দক্ষতার সাথে এটি মোকাবেলা করছে।
সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী আলী আজগর টগর, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরমেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা