২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হবে

-

স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এটি খুবই দ্রুততার সাথে লঘুচাপ থেকে পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ হয়ে যায়। আবার দুর্বলও হয়ে পড়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ পানিতে নিম্নচাপটি এখন আর নেই। নিম্নচাপ স্থলে উঠে গেলে তা শক্তি হারিয়ে ক্রমেই দুর্বল হতে থাকে। গতকাল রাত পর্যন্ত যেখানে ছিল আজ এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এটা হয়েছে পূর্ণিমার সময়ে, ফলে সমুদ্র কিছুটা ফুলে উঠছে এবং উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করছে। গতকাল পূর্ণিমার চাঁদটি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও ছিল। এটা ছিল একটি সুপার মুন। ফলে সাগরে এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পূর্ণিমা ও বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, রিপোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement