২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অস্বাস্থ্যকর রয়ে গেছে রাজধানীর বাতাস

-

বৃষ্টিতেও স্বস্তি ফিরেনি রাজধানীর বাতাসে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১২১। এতে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার স্থান ছিল সপ্তম। একিউআই স্কোর অনুযায়ী ১০১ থেকে ২০০ হলে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

গতকালের এ তালিকায় ঢাকার পর ১৭২ স্কোর নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই প্রথম, ১৬৯ স্কোর নিয়ে ইরানের তেহরান দ্বিতীয় এবং ১৫৭ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর তৃতীয় স্থানে ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে নির্মল বায়ুর জন্য বিধিমালা নয় আইন প্রয়োজন বলে মনে করে পরিবেশবাদী সংগঠন ন্যাচার লাভিং পিপল (এনএলপি)। এসময় নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন থেকে সরকার সরে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।

সংগঠনের সভাপতি এহসানুল হক জসীম ও সাধারণ সম্পাদক মো: আক্তারুজ্জামান এক বিবৃতিতে নির্মল বায়ু বিল, ২০১৯ প্রণয়নের তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও বিলটি আলোর মুখ না দেখায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, মন্ত্রণালয় বা সরকার নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন থেকে সরে এসে আইন না করে তারা একটি বিধিমালা করার দিকে এগোচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে পরিবেশ মন্ত্রণালয় বিধিমালার চেয়ে আইন অনেক শক্তিশালী করার দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, নির্মল বায়ু আইনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছিল সেই খসড়াটি অবিলম্বে আইনে পরিণত করার পদপে নিতে হবে। বায়ুদূষণ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, এমতাবস্থায় বিধিমালা দিয়ে কাজ হবে না। আইন প্রণয়ন করে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে নানা উদ্যোগ। এখনই যদি বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে দুর্যোগ দেখা দিতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বায়ুদূষণে প্রায়ই শীর্ষ স্থানে থাকে। বিশেষ করে রাজধানীসহ আশপাশের কিছু শহর ও নগরের বায়ুদূষণের মাত্রা ভয়ানক পর্যায় পৌঁছেছে। কিন্তু বায়ুদূষণ প্রতিরোধে আলাদা কোনো আইন নেই। পরিবেশবাদী ব্যক্তি ও সংগঠন এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবির মুখে স্বতন্ত্র একটি আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অবশেষে সরকার অনুধাবন করেছিল। এমতাবস্থায় নির্মল বায়ু আইনের একটি খসড়াও প্রণীত হয়েছিল। সরকার সেই আইন প্রণয়ন না করে বিধিমালা হিসেবে প্রণয়ন করতে চাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement